রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা ক্রমাগত বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে রক্তে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল একটা সময়ে ধমনির গায়ে আটকে যায়। ফলে শরীরে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার লক্ষণ ধরা পড়লে আগে থেকেই সাবধান হতে হবে।
লক্ষণ
* অল্প হাঁটলেই পায়ে যন্ত্রণা হয় এবং মাঝেমধ্যেই পা অবশ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মেদ জমার ফলে হৃদযন্ত্রের ধমনির পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়
* চোখের চারপাশে ছোট ছোট মাংসপিণ্ড জমা হয়। সাদা বা হলদে রঙের ছোট ছোট দানা চোখের চারপাশে উঠলেই বুঝবেন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে
* কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রভাব পড়ে নখেও। নখের সৌন্দর্য হারিয়ে যায় এবং নখ হলদে হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রেই নখের নিচের দিকে কালচে কিংবা বাদামি রঙের রেখা পড়ে যায়
* কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে জিভের ওপর বিবর্ণ ছোট ছোট দানা বের হয়। ছোট ছোট দানার মতো আস্তরণ সারা জিভে ছড়িয়ে পড়লে এবং রং পরিবর্তন করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত
* শরীরের মেদ জমা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার লক্ষণ। বিশেষ করে তলপেটে মেদ জমতে শুরু করলে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে
* রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময় রক্তনালি আটকে যায়। তখন মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে বাধা পড়ে। এতে ঘাড় ও মাথার পেছনে ভীষণ ব্যথা হয়। শুধু মাথাতেই নয়, ঘাড়েও অস্বস্তিকর ব্যথা হয়
* হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া শুধু ব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম অথবা টেনশনের কারণেই হয় না, কখনো কখনো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেও অনিয়ন্ত্রিত হৃৎস্পন্দন হতে পারে