জুলাই ‘গণহত্যার’ দুই অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপি মো. ময়নুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘পরোয়ানা জারি হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আশা করি আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ে পদক্ষেপ নেবে তারা।’
শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন– শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আকম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুই জন হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ সময় পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে আসেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তারা পুরোনো ট্রাইব্যুনালের মূলভবনে সংস্কার কাজ ঘুরে দেখেন।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ১ থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মূলভবনে বিচারকাজ শুরু করা যাবে।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি আসিফ নজরুল।