ব্রাজিলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা সুবিধার না। তাই চলমান কোপা আমেরিকা ছিল তাদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ। তবে সেখানেই ব্যর্থ তারা। কোনোরকমে গ্রুপ পর্ব পার হলেও কোয়ার্টার ফাইনাল পার হতে পারেনি। উরুগুয়ের বিপক্ষে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল।
স্বাভাবিকভাবেই কোয়ার্টারের গণ্ডি পার হতে না পারায় হতাশ ব্রাজিল ফুটবল দল। সামাজিক মাধ্যমে ব্রাজিলকে নিয়ে একের পর এক বিদ্রুপ হচ্ছে সেলেসাওদের। এমন পরিস্থিতিতে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র থেকে শুরু করে ফুটবলার কেউই রেহাই পাচ্ছেন না সমালোচনার হাত থেকে। এরই মধ্যে উরুগুয়ের কাছে হারার পর একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, টাইব্রেকারের আগে ব্রাজিলের ফুটবলাররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। কিন্তু সেই দলীয় বৃত্তে নেই দরিভাল। ব্রাজিলের কোচকে দেখা যায় পেছনে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকাচ্ছেন।
এই ছবি আর ভিডিও পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দরিভালকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করা হয়। তার ব্যক্তিত্ব ও দলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। এটি ভাইরাল হতেই মেজাজ খারাপ হয় ব্রাজিল কোচ দরিভালের। কোনো কিছু বিস্তারিত না জেনেই স্রেফ একটি ছবিকে ঘিরে এত আলোচনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ ব্রাজিল কোচ।
ব্রাজিলের ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো স্পোর্তের’ এক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ‘আমার মতে তারা যেটা করেছে পুরোপুরি অদ্ভুত। তারা কি একবারও সরাসরি আমাকে জিজ্ঞেস করেছে যে কী হয়েছে? ব্যাপারটা নিয়ে আমি একবারও কথা বলিনি। এমনকি এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।’
দরিভালের কাছে টাইব্রেকারের ঘটনা ভাইরাল হওয়া বেশি বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। ব্রাজিল কোচ বলেন, ‘ব্যাপারটা এমনভাবে ছড়াল, যেন অন্য কোনো গ্রহের অদ্ভুত কাজ এখানে করা হচ্ছে। এখন কি আমার হাতে ক্লিপবোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? আমার খুবই খারাপ লাগছে কথা বলতে। তবে ঘটনা হচ্ছে যে সামান্য একটা ছবি নিয়ে তারা অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।’
এমন অভিজ্ঞতা কোচ হিসেবে তার জন্য নতুন কিছু নয় বলে জানান দরিভাল। তিনি বলেন, ‘পেশাদার হিসেবেও যদি সম্মান না করে, সবকিছুর ওপরে তারা আমাকে একজন পারিবারিক মানুষ হিসেবেও দেখতে পারে, যে সবাইকে ও সবকিছুকে সম্মান করে। যা হয়েছে, এতে আমি মর্মাহত। খুবই বিরক্ত। যদিও পেশাদারদের জন্য এটা বড় কিছু নয়। এই ধরনের অনেক অভিজ্ঞতাই হয়।