সর্বশেষ
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বিএনপি
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা
যে ৫ প্রাণঘাতী রোগের কারণ হাই কোলেস্টেরল
এক লুকের সঙ্গে আরেক লুকের কোনো মিল নেই টালিউড সুইটহার্ট শ্রীজলার
হজম ক্ষমতা বাড়াতে মেনে চলুন কিছু টিপস
গ্রীষ্মে রোদে পোড়া ও নিস্তেজ ত্বককে বিদায় জানাতে মেনে চলুন এই ৭টি হাইড্রেশন হ্যাকস
হাই ট্রাইগ্লিসারাইড : স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
খালি পেটে পেঁপে পাতার রস খেলে মিলবে যেসব উপকার
৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফিংয়ে বিশ্বরেকর্ড
সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ

কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি বুঝবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

কোলোরেক্টাল ক্যানসার একটি অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এটি তৃতীয় সর্বাধিক নির্ণয় করা ক্যানসার এবং বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে মৃত্যুর চতুর্থতম কারণ। কোলন হলো পরিপাকতন্ত্রের শেষের অংশ। আর কোলনের শেষ অংশ হলো রেকটাম বা মলাশয়। কোলোরেক্টাল ক্যানসার হলো কোলন ও রেকটামের ক্যানসার। কোলন ক্যানসার সাধারণত বয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। যদিও এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে। কোলনের ভেতর ছোট কোষের গুচ্ছ বা পলিপ হওয়ার মাধ্যমে এ ক্যানসার তৈরি হওয়া শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পলিপ কোলন ক্যানসারে পরিণত হতে পারে এবং কোলোরেক্টাল ক্যানসার এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

পলিপ ছোট হতে পারে এবং অল্প কিছু উপসর্গ তৈরি করতে পারে। এ কারণে, চিকিৎসকেরা ক্যানসারে পরিণত হওয়ার আগে পলিপগুলো শনাক্ত ও অপসারণ করে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং পরীক্ষার পরামর্শ দেন। কোলন ক্যানসার শনাক্ত হলে সেটি নিয়ন্ত্রণে অনেক চিকিৎসা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপি। রেকটাল ক্যানসার হলো মলাশয়ের ক্যানসার। কোলন ও রেকটাল ক্যানসারকে একত্রে কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলে।

কোলোরেক্টাল ক্যানসারের লক্ষণ 
কোলন ক্যানসারের লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে,

  • ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য
  • মলের প্রকৃতির পরিবর্তন
  • মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন
  • মলের সঙ্গে রক্ত, মিউকাস যাওয়া
  • দুর্বলতা, পেটে অস্বস্তি বা ব্যথা
  • অন্ত্র সম্পূর্ণরূপে খালি না হওয়ার অনুভূতি
  • ঘন ঘন মলত্যাগ করা
  • ওজন কমে যাওয়া।

কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত অনেকেরই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে।

ঝুঁকির কারণ

কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে,
বয়স: কোলন ক্যানসার যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষের বয়স ৫০ বছরের বেশি। ৫০ বছরের কম বয়সী লোকদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের হার বাড়ছে।
কোলোরেক্টাল ক্যানসার বা পলিপের ইতিহাস: যদি ইতিমধ্যেই কোলন ক্যানসার বা নন-ক্যানসারাস কোলন পলিপ হয়ে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
প্রদাহজনক অন্ত্রের অবস্থা: কোলনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ, যেমন আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং ক্রোনস ডিজিজ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সিনড্রোম: কিছু জিন মিউটেশন পরিবারের কয়েক প্রজন্মের মধ্যে দিয়ে গেলে তা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মাত্র অল্প শতাংশ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিনের সঙ্গে যুক্ত। সবচেয়ে সাধারণ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সিনড্রোম যা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তা হলো, ফ্যামিলিয়াল অ্যাডেনোমেটাস পলিপোসিস (এফএপি) এবং লিঞ্চ সিনড্রোম। এগুলো বংশগত ননপলিপোসিস কোলোরেক্টাল ক্যানসার (এইচএনপিসিসি) নামে পরিচিত।

কোলন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস: এই রোগে আক্রান্ত নিকটাত্মীয় থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। পরিবারের একাধিক সদস্যের কোলন ক্যানসার বা রেকটাল ক্যানসার থাকলেও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি থাকে।

কম আঁশ উচ্চ চর্বিযুক্ত খাদ্য: কোলন ক্যানসার এবং রেকটাল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কম আঁশ ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খান তাঁদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।

শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তা ডায়াবেটিস: যাঁরা শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় অর্থাৎ শারীরিক কাজকর্ম বা ব্যায়াম করেন না তাঁদের কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া যাঁদের ডায়াবেটিস বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে, তাঁদেরও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।

স্থূলতা: স্থূল ব্যক্তিদের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং সাধারণ ওজন হিসেবে বিবেচিত মানুষদের তুলনায় কোলন ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ধূমপান ও মদ্যপান: যাঁরা ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাঁদের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।

বিকিরণ থেরাপি: পূর্ববর্তী ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য পেটে রেডিয়েশন থেরাপি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ