সর্বশেষ
ত্বকের সুরক্ষায় মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু কেন
ঈদের পর থেকে ১০ দিন ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ
চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন ড. ইউনূস
ফ্যান জোনে খেলা দেখাবে বাফুফে 
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর
বেতন-বোনাস পাননি কুয়েটের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
চাঁদপুরে এক ইলিশের দাম শুনে মাথায় হাত!
সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিভিন্ন দেশে ভিসা বন্ধে আমাদের লোকজনই অনেকাংশে দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
চিফ প্রসিকিউটর অফিসে গুমের অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ
জামালপুর থেকে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে গরু যাচ্ছে রাজধানীতে
ক্রিকেটারদের মনোবিদের কাছে পাঠানোর পরামর্শ নান্নুর
রাফাল নিয়ে এবার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লো ফ্রান্স-ভারত
আজ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা যেসব এলাকায়

সাড়ে ১৬ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ দুই সপ্তাহে

অনলাইন ডেস্ক

শেয়ারবাজারে গত জুন মাসে যে সংখ্যক বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছিল, জুলাইয়ের দুই সপ্তাহে বন্ধ হয়েছে তার থেকে বেশি। জুনে ১৬ হাজার ৮২টি বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছিল। জুলাইয়ের গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে আরও ১৬ হাজার ৪৭৯টি অ্যাকাউন্ট। ইলেকট্রনিক শেয়ারের তথ্য সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান সিডিবিএল প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনায় এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, বিও অ্যাকাউন্ট খোলা ও বন্ধ হওয়া প্রতিদিনের ঘটনা। বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কেউ না কেউ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলেন। একই সময়ে নানা কারণে বিনিয়োগ তুলে নিয়ে অনেকে অ্যাকাউন্ট বন্ধও করে দেন। সাধারণত বাজার চাঙ্গা থাকলে বিও অ্যাকাউন্ট বাড়ে, আবার মন্দায় কমে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১১ জুলাই শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৭টি। গত ৩০ মে ছিল ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২২৮টি। জুনের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিনই কমেছে। সর্বশেষ হিসাবে সক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে ১৩ লাখ ৬ হাজার ১৬৮টিতে কম-বেশি শেয়ার ছিল। তবে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১টিতে কোনো শেয়ার ছিল না। এ ছাড়া বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পর এখনও শেয়ার কেনা হয়নি, এমন ৭২ হাজার ৪৫৮টি সক্রিয় আছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত শেয়ার থাকা বিও অ্যাকাউন্ট কমেছে ৩০ হাজার ৩৬৭টি। শুধু সর্বশেষ ১০ ও ১১ জুলাই দুই দিনে ৬ হাজার ২০৬টি অ্যাকাউন্টে নতুন করে শেয়ার কেনা হয়েছে। এ সময়ে টেকনো ড্রাগসের আইপিও শেয়ার বিওতে বণ্টন হওয়া এই বৃদ্ধির কারণ হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা চার মাস মন্দায় ছিল শেয়ারবাজার। এ সময়ে অনেকে শেয়ার বিক্রি করে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। ১২ জুন থেকে টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল শেয়ারদর। তবে এতে আকৃষ্ট হয়ে নতুন বিনিয়োগকারী এসেছে– এমন প্রবণতা খুব বেশি দেখা যায়নি।

ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, অ্যাকাউন্টে শেয়ার থাকুক বা না থাকুক, অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনা নবায়ন ফি বাবদ ৪৫০ টাকা থেকে সিডিবিএলকে ৩৫০ টাকাই দিতে হয়, যার ২০০ টাকা পায় সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নেয় ৫০ টাকা। শেয়ার না থাকা অ্যাকাউন্টের গ্রাহক ওই অ্যাকাউন্ট আর কখনও ব্যবহার না করলে ৩৫০ টাকার ক্ষতির পুরোটা প্রতিষ্ঠানের। এ কারণে জুন ও জুলাই জুড়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলো নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়।

অনলাইন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ