সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন?

অনলাইন ডেস্ক

কর্মক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা মানসিক চাপ বাড়ায়। আর এ প্রজন্মের কর্মজীবীদের চাকরি হারানোর ভয়, অনিশ্চিয়তা ইত্যাদি বেশিই দেখা যায়। অর্থাৎ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। আর এর প্রভাব পড়ে তাদের আচরণ ও পারিবারিক জীবনে। দেখা যায়, তাদের মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে। তারা অন্যদের সাথে মিশেন না। আবার কেউ অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠেন। পরিবারের সদস্যদের সাথেও ঠিকভাবে কথা বলেন না। সারাক্ষণ তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। দুশ্চিন্তার কারণে অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দেয়।

ভারতীয় মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার সমস্যা এখন খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতার নানা কারণ থাকতে পারে। কেউ সারা বছর কাজে ফাঁকি দিয়ে পরে দুশ্চিন্তায় ভোগেন, আবার কেউ সব সময়েই সাফল্যের শিখরে থাকতে চেয়ে উদ্বেগে ভোগেন। নিজের জায়গা হারিয়ে ফেলার ভয়ও কাজ করে। খরচ ও আয়ের মধ্যে যারা ভারসাম্য রাখতে পারেন না, তারাও এমন অনিশ্চয়তায় ভোগেন।

দুশ্চিন্তা কাটাবেন যেভাবে 

  •  কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা থাকবেই। বসদের আচরণ, অন্যান্য সহকর্মীদের অসহযোগিতাসহ নানা কারণে এমনটা হতে পারে। তবে তা নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো যাবে না। কেননা একবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করলে তা আর শেষ হয় না। তাই সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। অযথা উদ্বেগে না ভুগে নিজের কাজ সময়মতো করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের কাজের খুঁটিনাটি জানিয়ে রাখুন। এতে দুশ্চিন্তা অনেক কমবে।
    •    নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। মনোবিদরা বলেন, কাজ নিয়ে খুশি না থাকলে মনে বিভিন্ন দুশ্চিন্তা আসে। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো যথাসময়ে শেষ করার চেষ্টা করুন। কাজ ফেলে বা জমিয়ে রাখবেন না। দিনের শুরুতেই কাজের তালিকা বানিয়ে নিন। কী কী কাজ করছেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখুন। সহকর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করুন।
    •    আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলুন। এতে দুশ্চিন্তা কম হবে। শুরু থেকেই সঞ্চয়ের ভাবনা রাখুন। কী ভাবে টাকা সঞ্চয় করবেন, কোথায় কোথায় লগ্নি করে রাখলে লাভ হবে তা জানুন। চাকরি চলে গেলে নতুন চাকরি পাওয়া পর্যন্ত যেন চলতে পারেন সেভাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করে রাখুন।
    •    সব সময় পড়াশোনার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন। প্রযুক্তিবিষয়ক জ্ঞান অর্জন করুন। কাজ নিয়ে অভিজ্ঞতা যত বাড়বে, ততই দুশ্চিন্তা কম হবে। চাকরি চলে গেলেও নতুন চাকরি খুঁজে নিতে অসুবিধা হবে না।
    •    অন্যের সাফল্য দেখে উৎকণ্ঠায় ভুগবেন না। বরং নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করুন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ