ফ্লোরাল, লোকজ ও পপ-আর্ট মোটিফের আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নজর কাড়ছে খাদি বাই নুভিয়ার শীত সংগ্রহ। উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে এমন মোটিফের সামঞ্জস্যপূর্ণ উপস্থিতি শীতের বিষাদময়তা ঘুচিয়ে তুলতে পারে।
বরাবরের মতোই বিভিন্ন শিল্পের প্রেরণায় তৈরি হয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ড খাদি বাই নুভিয়ার শীত সংগ্রহ। ফ্লোরাল, লোকজ ও পপ-আর্ট মোটিফের আকর্ষণীয় উপস্থাপনা নজর কাড়ছে এই সংগ্রহ। উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে মোটিফের সামঞ্জস্যপূর্ণ উপস্থিতি শীতের বিষাদময়তা ঘুচিয়ে তুলতে পারে।
পটচিত্র, মধুবনী ও গাজির পটের মতো ঐতিহ্যবাহী নকশায় সাজানো তাঁদের সম্ভার। সঙ্গে আছে ফুল-পাখি ও পপ আর্ট প্রাণিত নকশাও। বিভিন্ন কার্টুন, ক্যামেরার মতো রঙিন সব ইলাস্ট্রেশন নকশাও বাদ যায়নি।
খাদির কটিগুলো উষ্ণতার পাশাপাশি দেবে ফ্যাশনেবল লুক। কনকনে শীতের জন্য আছে ডাবল লেয়ারড কটি। কটির ভেতরে আরামদায়ক ফানেল কাপড়ের স্তর করা। আর হালকা শীতের কথা মাথায় রেখে আছে কিছু সিঙ্গেল লেয়ারড কটি। শাড়ি, কামিজ, কুর্তিসহ যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যাবে এই কটিগুলো।
কোরা খাদি, হ্যান্ডলুম, স্ল্যাব কটনসহ বিভিন্ন কাপড়ে টাই-ডাই ও স্ক্রিন প্রিন্ট করে নকশা করা হয়েছে কটিগুলো। আরও আছে তাঁদের নিজস্ব ডিজাইনের বিভিন্ন রঙের গজ কাপড় দিয়ে তৈরি প্যাচওয়ার্ক কটি। কয়েক ধরনের কাপড় জোড়া দিয়ে কটিগুলো তৈরি বলে, প্রতিটি কটি আলাদা।
খাদির শালগুলো হাতে বোনা খাদি কাপড়ে তৈরি। স্ক্রিন্ট প্রিন্ট ও ডিজিটাল প্রিন্টে রাঙানো হয়েছে শালগুলো। কটির মতো শালের নকশায় আছে ফোক আর্ট, পপ আর্ট আর প্রকৃতি প্রাণিত নকশা। নান্দনিক নকশার এই রঙিন শালগুলো মানিয়ে যাবে অফিস ও আড্ডায়। ভ্রমণে এমন নকশার পোশাক দেখায় আরও ফ্যাশনেবল।
খাদি বাই নুভিয়ার স্বত্বাধিকারী ফাতেমা তুজ জোহরা নুভিয়া বলেন, ‘আমাদের মনের ওপর পোশাকের রঙের অনেক প্রভাব থাকে। শীতে আমরা তাই বরাবরই প্রচুর রঙিন কাজ করতে পছন্দ করি, যাতে শীতের অলসতা কাটিয়ে মন আরও প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। প্রতিটি পোশাক যেন এক-একটি রঙিন শিল্প হয়ে ওঠে সেই চেষ্টাই করেছি এবার।’
ছবি: খাদি বাই নুভিয়া