শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতে অধিকাংশের জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দেয়। সাধারণ অসুস্থতা থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আর দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকীর জুড়ি নেই।
১০০ গ্রাম আমলকীতে রয়েছে প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন ইমিউনিটি সক্রিয় করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই ফলে রয়েছে অ্যালকালয়েড, পলিফেনলস এবং ফ্ল্যাভানয়েডসের ভাণ্ডার। আর এসব উপাদানও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: এত উপকারী জানলে লাউয়ের বীজ হয়তো আর ফেলে দেবেন না
নিয়মিত আমলকীর রস খেলে কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমলকীতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবিটিস ও হাঁপানি কমাতে বেশ উপকারী আমলকী।
সর্দি-কাশির সারাতে আমলকী খেতে পারেন। হজম ক্ষমতা বাড়াতেও আমলকী উপকারী। প্রতিদিন এক চামচ আমলকীর রস মধু দিয়ে খেলে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমবে।
আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে লিভারও ভালো রাখে।
চুল পড়া ঠেকাতে আমলকীর রস মাখতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও প্রোটিন যা চুলের পুষ্টি যোগায়। চুল পড়া রোধ করে।
আরও পড়ুন: শীতে ত্বকের যত্নে বিশেষ উপকারী এই তিনটি তেল
আমলকীতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। আর এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। এমনকি ম্যাকুলার ডিজেনারেশনও আটকাতেও পারে। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি কনজাংটিভাইটিসের মতো চোখের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে।
ব্রেনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে আমলকী। কেননা এই ফলে রয়েছে একাধিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। আর এই উপাদান ব্রেনের ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, এতে থাকা ভিটামিন সি নরেপিনেফ্রিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনে সাহায্য করে। যার ফলে ডিমেনশিয়ার মতো জটিল অসুখ থেকে বেঁচে থাকা যায়।