সর্বশেষ
১০ বছরে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৭ লাখ বাংলাদেশি
সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির
ঝলমলে আমেজে দিশা পাটানির যত গ্ল্যাম লুক
পাক অভিনেতার প্রশংসা করে তোপের মুখে বলিউড অভিনেত্রী
দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই
ভারতকে ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রীর
৮ মাসে ২৬ রাজনৈতিক দলের উত্থান, উদ্দেশ্য কী?
ভারতের কাছে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’
অন্য অভিবাসীদের আটকে দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে চান ট্রাম্প
নির্মাণ সামগ্রী খোলা স্থানে রাখায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জরিমানা
সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৯৯ পদে চাকরি, ১৮ বছরেই আবেদনের সুযোগ
‌‘মাথায় ক্যামেরা, খুনের পর সেলফি তুলেছিল তারা’
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ক্রিকেটাররা, থাকবেন তামিমও
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আকাশ

কয়েকটি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মচ্চ নদীর অলিরঘাট পারাপারে কয়েকটি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। একটি ব্রিজের অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

সরেজমিন দেখা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরনো গনকপাড়া গ্রামে সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলির ঘাট। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উচ্চতা (উঁচু) হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলতেই পারে না। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকে না। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন আরও বেড়ে যায়।

প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্য-দিনের সঙ্গী।

আরও পড়ুন: সাদপন্থীদের আ.লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের

অলিরঘাট পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের দূরত্ব ২ কিলোমিটার, যাতায়াতের বিকল্প সড়ক ব্যবহারে ২ কিলোমিটারের স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার সড়ক। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এ ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাট-বাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবি এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের।

স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম জানান, আশপাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বাণিজ্য ও হাট-বাজার করে। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ি, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।

আরও পড়ুন: হিলিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কমিটি গঠন

কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ