সর্বশেষ
১০ বছরে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৭ লাখ বাংলাদেশি
সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির
ঝলমলে আমেজে দিশা পাটানির যত গ্ল্যাম লুক
পাক অভিনেতার প্রশংসা করে তোপের মুখে বলিউড অভিনেত্রী
দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই
ভারতকে ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রীর
৮ মাসে ২৬ রাজনৈতিক দলের উত্থান, উদ্দেশ্য কী?
ভারতের কাছে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’
অন্য অভিবাসীদের আটকে দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে চান ট্রাম্প
নির্মাণ সামগ্রী খোলা স্থানে রাখায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জরিমানা
সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৯৯ পদে চাকরি, ১৮ বছরেই আবেদনের সুযোগ
‌‘মাথায় ক্যামেরা, খুনের পর সেলফি তুলেছিল তারা’
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ক্রিকেটাররা, থাকবেন তামিমও
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আকাশ

গাইবান্ধায় হলুদের চাদরে মোড়ানো সরিষার মাঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ, দৃষ্টিজুড়ে হলুদের অপার সৌন্দর্যের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায়, শুধুই হলুদ রঙের বিস্তৃতি। সরিষা ফুলের সোনালি আভায় মোড়ানো মাঠগুলো যেন প্রকৃতির সাজানো হলুদ গালিচায় পরিণত হয়েছে। ফুল আসায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে মৌমাছির গুঞ্জন, যা পুরো এলাকা জুড়েই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। আর সরিষার ভালো ফলন নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গাইবান্ধার উপজেলার সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের এই সৌন্দর্য চোখে পড়ছে।

গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গতবছর জেলার সাতটি উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৮ হাজার ১৭৯ হেক্টর। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছিল ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর। এবছর জেলায় সরিষা চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ২১৫ হেক্টর। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৫৪ হেক্টর। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সরিষার সবুজ গাছের ফুলগুলো শীতের সোনাঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়েহলুদ বরণ মেখে। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক যুগ থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ, এ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত।

আরও পড়ুন: বীজসংকটে আলুর ফলন কমার শঙ্কা

ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মাঠে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নানা বয়সের বিনোদনপ্রেমীরা। সরিষা ক্ষেত ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা। কথা হয় ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকা থেকে ঘুরতে আসা মাহাফুজ হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আমরা তিন বন্ধু মিলে এসেছি। এখানে আসলেই মণ ভালো হয়ে যায়। আড্ডা দিলাম, ছবি তুললাম খুবই ভালো লাগলো।

শহরের ভিএইড রোড থেকে ঘুরতে আসা বিধান সরকার বলেন, সরিষা ফুল ফোটার পরেই আমহর কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রতিদিন বিকেলে আসি। জমির আইল দিয়ে হেঁটে বেড়াই, অনেক মজা করি। এতে খুবই ভালো লাগে আমাদের সবার। তাই এ সময়টা খুবই চমৎকার কাটছে আমাদের।

সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের ফারাজিপাড়া এলাকার কৃষক তারা মিয়া (৫৫) বলেন, গত বছর দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। কিন্তু এবার তিন বিঘা জমিতে সরিষা লাগিয়েছি। সরিষা আবাদে খরচ অনেক কম, তবে দাম যদি ভালো পাওয়া যায় তাহলে আমাদের চাষিদের জন্য ভালো হবে। আর শেষ পর্যন্ত যদি তেমন কুয়াশা না হয় তাহলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, রোপা আমন এবং বোরো চাষের মধ্যে সরিষা চাষে কৃষকদের জন্য খুবই লাভজনক। একদিকে যেমন কৃষকরা সরিষা আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, পাশাপাশি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষা আবাদ করে দেশে যে তেলের চাহিদা সেটি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুন: কাহারোলে বাঁশের সাঁকোই ১৫ গ্রামের মানুষের ভরসা

তিনি আরও বলেন, সরিষা আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এছাড়া কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য জেলাতে ১৫ হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় সরিষা বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি পুনর্বাসন আওতায় ১১ হাজার ৮০০ কৃষককে সরিষা বীজ এবং সার প্রদান করা হয়েছে। এতে করে এ জেলায় সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরিষার সঠিক মূল্য পেলে আগামী বছর এ জেলায় সরিষা আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ