রমজান মাসকে ঘিরে আমদানি চাহিদা, পুরনো এলসি বিল পরিশোধ এবং বিদেশ ভ্রমণের কারণে দেশে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। তবে যোগান কম থাকায় ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ডলারের সর্বোচ্চ দর ১২০ টাকা হলেও অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্স কিনছে ১২৮ টাকায়। খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৯ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১২৩-১২৪ টাকা।
চাহিদা বৃদ্ধির কারণ:
১. রমজানের আগে আমদানির চাপ।
২. বিদেশ ভ্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি।
৩. পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধে ব্যাংকগুলোর চাপ।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাসের মধ্যে পুরোনো আমদানি দায় মেটানোর নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো উচ্চমূল্যে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২ বিলিয়নের বেশি, যা মোট রিজার্ভকে ২৪.৯৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।
ডলারের বাজারের অস্থিরতার পেছনে কিছু অসাধু চক্র সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সন্দেহভাজন অন্তত ১৩টি ব্যাংকের ডলার লেনদেনের তথ্য চেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, ডলার বাজার মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক তথ্য জমা দিয়েছে। সবকিছু বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, ডলারের উচ্চমূল্য ও চাহিদার কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। এ অবস্থায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।