সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

ত্বক চর্চার যে উপাদান গুলো ছিল সবচেয়ে কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক

সৌন্দর্য দুনিয়ায় বছর জুড়েই ত্বকের যত্ন ও মেকআপের ট্রেন্ড নিয়ে বেশ মাতামাতি হয়। চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে ২০২৪ সালে ত্বকের যত্ন যে বিষয়টি সবচেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে তা হচ্ছে  মানসিক প্রশান্তি। ত্বকবিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে আলোচনাও করেছেন বিস্তর। পাশাপাশি প্রাধান্য পেয়েছে স্কিনিমালিজম ও প্রোবায়োটিক স্কিন কেয়ার।

স্ট্রেস রিলিফ

গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলে তাঁর শরীর কর্টিসল নামের একধরনের হরমোন তৈরি করে, যা কর্টিকোট্রফিন বা সিআরএইচ নির্গত করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপে সিআরএইচ ওভারড্রাইভে চলে যায়। ফলে ত্বকের সেবেশিয়াস গ্রন্থি অতিরিক্ত তেল নির্গত করে। অত্যধিক তেল রোমকূপ বন্ধ করে, ব্রণের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ, রুক্ষতা, ইনফ্ল্যামেশন, ডার্ক সার্কেল, প্রিম্যাচিউর রিংকেল ইত্যাদির মতো সমস্যা সৃষ্টিতে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের দায় রয়েছে।
স্কিনকেয়ার রুটিনের এই স্ট্রেস রিলিফের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডগুলো প্রাকৃতিক ডি-স্ট্রেসিং আর রিলাক্সেশন উপাদান, যেমন ল্যাভেন্ডার, হলি বেসিল, ক্যামোমাইল, রোজ অব জেরিকো, টি ট্রি অয়েল, আরনিকা ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এসেছে। যত দিন যাচ্ছে, এ ধরনের পণ্যের কাটতি বাড়ছেই।

স্কিনিমালিজম

সৌন্দর্য-বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছরের মতো ২০২৪ সালের স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে দারুণ জনপ্রিয় ছিল স্কিনিমালিজম। স্কিনিমালিজমের ধারণাটি বেশ সহজ। আর তা হলো, খুব অল্প কিন্তু কার্যকর ত্বকচর্চার পণ্যের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার না করে ত্বকের স্বাভাবিক রং ও ধরনে তৃপ্ত থাকা। কোরিয়ান ১০ ধাপের স্কিনকেয়ার রুটিন যখন ট্রেন্ডে ছিল, তখন বেশির ভাগ সৌন্দর্যসচেতন মানুষেরা ভাবতেন, যত বেশি পণ্য ব্যবহার করা হবে, ত্বক হয়ে উঠবে তত সুন্দর ও নিখুঁত। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য এমন বিলাসী, ম্যাক্সিমালিস্ট বিউটি রুটিনের প্রয়োজন নেই। ত্বকের যত্নে কেবল ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনই যথেষ্ট। অতিরিক্ত শুষ্কতা বা তৈলাক্ত ভাব, অ্যাকনে, রিঙ্কেলের মতো সমস্যা থাকলে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টসমৃদ্ধ সিরাম লাগানো যেতে পারে। ত্বক অনুযায়ী মাসে দুই-চারবার এক্সফোলিয়েটর ও ফেস মাস্ক ব্যবহার করলেই চলবে। এসবের পাশাপাশি দীপ্তিময়, বলিরেখামুক্ত ত্বকের জন্য কিছু চর্চাও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

প্রোবায়োটিক স্কিনকেয়ার

অনেকে মনে করেন, প্রোবায়োটিক শরীরের জন্য শুধুই ক্ষতিকর। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, কিছু ব্যাকটেরিয়া শুধু উপকারী নয়, দরকারিও বটে। এই ধারণা থেকে ত্বকের যত্নেও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ পণ্যের  ব্যবহার শুরু হয়। প্রোবায়োটিক স্কিন কেয়ার পণ্য প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের সমস্যার সমাধান করে। বিশেষভাবে ব্রণ, ত্বকের জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব দূর করে।

ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি

ভিটামিন সি ত্বকের টক্সিনগুলো দূর করতে সহায়তা করে। ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ভিটামিন সি অ্যাকনে বা ব্রণের সঙ্গেও লড়াই করে। একই সঙ্গে ত্বককে দূষণজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি কোলাজেন উৎপাদন করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়। সত্যিকারের ভিটামিন সি যুক্ত স্কিন কেয়ার পণ্যগুলোর রয়েছে এমনই বহুমুখী গুণ।

সানস্ক্রিন

সানস্ক্রিন শুধু গ্রীষ্মকালীন প্রসাধনী নয়। সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে সব সময়। দূষণ থেকে ত্বক বাঁচাতেও সানস্ক্রিন লাগাতেই হবে। এমন সানস্ক্রিন কিনতে হবে, যা ইউভি-বি এবং এ—দুটি রশ্মিকেই প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে। বাজারে এমন অনেক সানস্ক্রিন আছে যা শুধু ইউভি-বি রশ্মি থেকেই ত্বক সুরক্ষা দিতে পারে। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে সানস্ক্রিন কেবল মুখেই মাখতে হয়। গলা, হাত-পায়ের মতো শরীরের খোলা অংশেও সানস্ক্রিন লাগানো অতি জরুরি। তা ছাড়াও রান্নাঘরে অনেক সময় থাকলে আগুনের তাপে ত্বকের ক্ষতি হয়। সে ক্ষেত্রে বাড়িতেও সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে হবে।

নায়াসিনামাইড

ত্বকের হাজার সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে এই নায়াসিনামাইড।এ জন্য ডার্মাটোলজিস্টরা ইতিমধ্যেই এর নাম দিয়েছেন ‘সুপারস্টার ইনগ্রিডিয়েন্ট’। নায়াসিনামাইড ভিটামিন সি-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। অনেকেই আছেন, যাঁদের ত্বকে ভিটামিন সি ব্যবহারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অন্যদিকে নায়াসিনামাইড ত্বকে কোনো সমস্যা তৈরি না করেই  ভিটামিন সি-এর মতো ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে। এবং বয়সের লাগাম টানে। পাশাপাশি ত্বকে প্রোটিন (কেরাটিন) গড়তে সাহায্য করে। এ ছাড়া আর্দ্রতা আটকে; পরিবেশদূষণের ফলে হওয়া ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা এবং তা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে।

ছবি: হাল ফ্যাশন, ইনস্টাগ্রাম ও পেকজেলসডটকম

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ