সর্বশেষ
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
যে ফলগুলো খেলে গরমে আপনার চুল ভালো থাকবে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুফিউর
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস
রাকসুর চূড়ান্ত বিধিমালা হয়নি, জুনে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, ভোগান্তি যাত্রীদের
নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান
৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ডাক
সিইসির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি
ক্যাস্ট্রলের আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর রক এনার্জি
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, প্রশাসন আসলেই কার পক্ষে?
৮ মাস পর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল  
সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

বারবার কসম ভঙ্গ করলে কতবার কাফফারা দিতে হবে?

অনলাইন ডেস্ক

প্রশ্ন: আমি আল্লাহর কাছে বার বার শপথ করেছি যে, আমি এই কাজটি আর করব না। কিন্তু বার বার ভঙ্গ করে ফেলি। সম্প্রতি আমি জেনেছি যে কাফফারা দিতে হয় তো আমি সকল কাফ্ফরা একবারেই দিয়ে দিতে পারবো কি? আর আমি জানিনা কতবার ওয়াদা ভঙ্গ করেছি।

উত্তর: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কসম ভঙ্গ করার কারণে আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে একবার কসম করে তা ভাঙ্গার পূর্বে সেই বিষয়ের কসম বারবার পুনরাবৃত্তি করার দ্বারা যদি আপনি ভিন্ন করে কসমের উদ্দেশ্য না নিয়ে থাকেন; বরং পূর্বের কসমেরই পুনরাবৃত্তি করা এবং তা দৃঢ় করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে প্রতি কসমের উপর কাফফারা আসবে না।

বরং এভাবে কসমগুলো করার পর যখন কসম ভঙ্গ হয়েছে তখন একটি কাফফারা দিতে হবে। এরপর যদি আবার কসম করা হয় এবং তা ভঙ্গ করা হয় তাহলে পুনরায় কাফফারা দিতে হবে। (কিতাবুল আসল ৩/২৩৮, ৩/১৯৬ আলমাবসূত, সারখসী ৮/১৫৭ ইলাউস সুনান ১১/৪২৬)

একটি কসমের কাফফারা হল, দশজন গরীব মিসকীনকে দু’ বেলা তৃপ্তিসহ খানা খাওয়ানো। অথবা তাদের প্রত্যেককে এক জোড়া করে কাপড় দেওয়া। এ দুটির সমার্থ্য না থাকলে এক নাগাড়ে তিনটি রোযা রাখা।

এ কাফফারা প্রতিটি কসমের বিপরীতে আপনি ভিন্ন ভিন্নভাবেও আদায় করতে পারেন এবং একবারেও আদায় করতে পারেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ তোমাদের অর্থহীন কসমের জন্য তোমাদের পাকড়াও করবেননা, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে ওই কসমসমূহের জন্য পাকড়া করবেন যেগুলোকে তোমরা (ভবিষ্যত বিষয়ের প্রতি) দৃঢ় কর, সুতরাং ওর কাফফারা হচ্ছে দশজন অভাবগ্রস্তকে মধ্যম ধরণের খাদ্য প্রদান করা, যা তোমরা নিজ পরিবারের লোকদেরকে খাইয়ে থাক, কিংবা তাদেরকে পরিধেয় বস্ত্র দান করা (মধ্যম ধরণের), কিংবা একজন গোলাম কিংবা বাঁদী মুক্ত করা। আর যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখেনা সে (একাধারে) তিন দিন সিয়াম পালন করবে; এটা তোমাদের কসমসমূহের কাফ্ফারা যখন তোমরা কসম কর এবং অতঃপর ভঙ্গ কর এবং নিজেদের কসমসমূহকে রক্ষা করবে। এই রূপেই আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় বিধানসমূহ বর্ণনা করেন যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা মায়িদা ৮৯)

সুতরাং আপনার কর্তব্য হল, এই মাসআলা অনুযায়ী কতবার কসম ভঙ্গ করেছেন যথাসম্ভব তার সঠিক হিসাব বের করার চেষ্টা করা। সঠিক হিসাব বের করা না গেলে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে কাফফারার সংখ্যা নির্ধারণ করে তা আদায় করবেন এবং আল্লাহ তাআলার নিকট ভুলভ্রান্তির জন্য ইস্তিগফার করবেন।

প্রকাশ থাকে যে, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সংকল্পের ক্ষেত্রে বান্দার দায়িত্ব হল বারবার কসম না করে বরং আল্লাহ তাআলার প্রতি মনোনিবেশ করা এবং তার তাওফীক কামনা করা এবং কোন আল্লাহওয়ালা বুযুর্গের সংশ্রব অবলম্বন করা ও বেশি বেশি দোয়া করতে থাকা।

সূত্র: সূরা মায়েদা : ৮৯; কিতাবুল আসল ৩/২৩৮, ৩/১৯৬; আলমাবসূত, সারখসী ৮/১৫৭; ইলাউস সুনান ১১/৪২৬; রুহুল মাআনী ৭/১৪

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ