চীন-জাপানের পর মালয়েশিয়ায় বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার এবং বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।রোববার (৫ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে।
এদিকে, নতুন ভাইরাসের সংক্রমণে চীন ও জাপানের হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। ভাইরাসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বড় সংকট তৈরি হতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড বলেন, ‘আরও একটি মহামারির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত না বলে আগাম মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে ডিজিজ এক্স।
আরও পড়ুন: আফগান-পাকিস্তান বাহিনীর ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর অবস্থা থমথমে
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ কিছুদিন আগে ফ্লু-জাতীয় রোগের হার বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেয়ায় অনেকেই তথ্য গোপনের আশঙ্কা করছেন।
সিডিসির তথ্যানুসারে, এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নীচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়। এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাদাম চাষি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, পান শান্তিতে নোবেল
এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।
জটিল ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এইচএমপিভি সাধারণত হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে নির্গত সিক্রেশন, ব্যক্তিগত সংস্পর্শ যেমন- হাত মেলানো, সংক্রমিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করে মুখ, নাক বা চোখে হাত দেওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়।