সর্বশেষ
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সুখবর পেতে যাচ্ছেন!
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না : মির্জা ফখরুল
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা বিকেলে
এআই সাংবাদিকতার স্থান নিতে পারবে না: ইতালীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ
চা-বাগান জ্বলছে খরায় 
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না, সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বিসিআইসিতে বিশাল নিয়োগ, আবেদন করুন দ্রুত
উর্বশীর বিস্ময়কর দাবিতে রেগে গেলেন পুরোহিতরা

কুম্ভকারের হাত

অনলাইন ডেস্ক

প্রেমেন্দ্রর চোখে আজ তিরিশ বছর আগের ধুয়া। একটা পইন জ্বলছে সারা দিন। বাড়ির বাইরে এলেই যাদের ওম ছুটে যায়, তারা চটি আর খড়মে চটাং চটাং আওয়াজ তুলে পইনের সামনে এসে বসে। অনবরত পালা করে আগুন পোহানো চলে। এর ভেতরে কত কিছু গুঁজে দিয়েছে প্রেমেন্দ্রর বাবা। খোপে খোপে সাজানো আছে হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, ষাঁড়, স্ফীতবক্ষা পুতুল। অন্য সময় চলবে পাতিল, কলস, সানকি আর মটকি পোড়ানো। প্রায় দিনই ফাঁকে ফাঁকে জুড়ে দেওয়া হয় ঠুলি-মুচি, খেলনা চুলা, কলা-শরুফার কাতার। আগুনের খাদ্য হয়ে শিল্পসম্ভার কাতারে কাতার বা স্তরে স্তরে চুপ করে থাকলেও আগুনের এসব গরহজম হয়। তবে গিলে খাওয়ার ক্রোধান্বিত ঝাঁজেই বালিগাঁওয়ের মানুষ আগুন পোহাতে পারে।

আজ এত বছর আগের ধুয়া কিংবা পইনের ভেতরে জ্বলতে থাকা আগুনের স্মৃতি প্রেমেন্দ্রর চোখকে ঘোলা করে দেয়। কেউ কেউ বলত, ‘ও দাদা, কুমারের হাতেনি আছে ঈশ্বরের ছোঁয়া? নাইলে এই যে চাক তুমি ঘুরাও, তার ভিতর থাইক্যা ক্যামনে বাইর অইয়া আসে এই সব জিনিস? কী নিখুঁতভাবে ঈশ্বরের অদেখা হাত য্যান একটা একটা কইরা তুমার হাতে তুইলা দেয় এই সব!’ অকস্মাৎ মেলার বায়নার কথা ভাবতেই প্রেমেন্দ্রর ভাবনায় ছেদ পড়ে। টাকা সে অগ্রিম নিয়ে আসে, তা যে করেই হোক জোগান দিতে হবে পাঁচ হাজার পুতুল, তিন হাজার সরা-পাতিল, মালসা। চিন্তাটা মাথায় আসতেই তন্দ্রা টুটে যাওয়ার মতো তার ধ্যানভঙ্গ হয়। তখনই দীপালির ডাক পড়ে।

যুগল প্রেমের শিল্পচর্চা শেষে প্রেমেন্দ্রকে কত জায়গায় ছুটতে হয়। যেতে হয় কলাকোপা-বান্দুরা, সাভার, ভালুকার চান্দুর হাটি, মরজাল, বেলাব, বাঞ্ছারামপুর, রামচন্দ্রপুর, রামকৃষ্ণপুর। এসব দূরের বায়নার জন্য সে হরহামেশা বারইগ্রামের শীতলাপূজার কথা ভুলে যায়। কাছের বলে মাদার শাহ দরগাহর কথাও মনে থাকে না। এবারও জানে সে শীতলাপূজার মেলায় মৃৎশিল্প পাঠানোর জন্য দীপালি তাগিদ দেবে। এখানে দীপালির এক আবেগময় দুর্বলতা আছে। বিয়ের পর নিঃসন্তান ১০ বছরের হতাশা কাটাতে সে গিয়েছিল শীতলাদেবীর কুঁড়ে মন্দিরে। মন্দির-সেবিকা মাসির বনালা ঔষধে তার গর্ভে সন্তান আসে। তার পর থেকে দীপালির নিয়মিত তাগিদে শীতলাদেবীর মেলায় প্রেমেন্দ্রকে মাটির জিনিস পাঠাতেই হয়। কেবল এই একটা মেলায়ই দীপালি নিজেও গিয়ে উপস্থিত হয়। আসলে সে সুযোগ নেয় দেবী-বিগ্রহের সামনে দীর্ঘক্ষণ মাথা ঠেকিয়ে পড়ে থাকার। তবে দুদিন বাদেই যে মেলায় মৃৎশিল্প পাঠাতে হবে, সেটি বাজিতপুরের গোলক সা’র চৈত্রসংক্রান্তির মেলা। কেবল অর্ডারের মাল সরবরাহ করেই সে ক্ষান্ত হবে না, নিজেও দোকানদারি করবে টানা দুই দিন, চৈত্রসংক্রান্তি থেকে পয়লা বৈশাখ।

এ মুহূর্তে তার মাথায় একটা গন্ডগোল বেধে যায়, পেটে একটা কামড় দিয়ে ওঠে। আছে মাত্র দুদিন, কীভাবে যে কী করবে। অর্ডার বাতিলে যাবে নাকি? কিন্তু যে পাগলা কারবারি আনার মিয়া, এ সময় অর্ডার বাতিল করলে বাড়ি এসে টুটি চেপে ধরবে। সে কারণে একটু সশব্দেই দীপালিকে ডেকে উঠল।

‘আরে তাড়াতাড়ি দুই উরা মাডি নিয়া আসো বউ। বাকিডা আমি আনুম, আগে কাম শুরু হোক। তুমি আনো, আমি বানাই।’

‘কার জমিত থে। দাম দিতে অইব, না মাগনা?’

‘কার মাইনে? আরহব আলীর। সে-ই কইছিল ‘প্রেমদা, আমার জমিত বোরো করতে পারলেও আর একটু গুতনা অইলেই ভালা।”’

‘বুঝছি। অতডা গাতার লাইগ্যে তো দুর্গাপূজা পর্যন্ত অপেক্ষা করন লাগব।’

‘এক দিনের কাম নাহি? এইভাবেই তো আমরা কুমাররা মাইনষের জমি নিচা কইরে দেই। এই কারণে মাডির মূল্য না দিলেও চলে। আর দিলে দিবা।’

মাটি নিয়ে আসে দীপালি। তবে ভ্যাপসা গরমে সে ঘেমে সহজেই নেয়ে ওঠে। নাকে ও গলার নিচে জমে বিন্দু বিন্দু ঘাম। যে ছেলে এত দিন প্রেমেন্দ্রকে সাহায্য করত, সে এখন স্কুল করে।

দীপালি বলে,‘দ্যাহো হেমেন্দ্রর বাপ, ছেরা কি সারা দিনই ইস্কুল করে? কিছু কুমারের কাম শিখাও তারে, বাপ–দাদার ব্যবসা কি ছাড়ন যাইব?’

‘হ, চৌদ্দ পুরুষের ব্যবসা আমরার। এই বালিগাঁওয়ে অত দিন আগেই কুমারের কাম শুরু অইছিল।’

‘সে ত আমারে স্বর্ণকার হওয়ার সংকল্প জানাইল।’

এরই মধ্যে মাটি নরম করে প্রেমেন্দ্র পাল কাদা করে ফেলেছে। একমুঠো কাদায় পাঁচ আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে বলে, ‘হ, সব কামই তো করন লাগে। একসময় এই বালিগাঁওয়ে কী না আছিল—বণিক, ধুপা, নাপিত, সূত্রধর, আচার্য, ব্রাহ্মণ, জাওলা, যুগী, রায়। এহন কিছুই নাই। আছি খালি দুই ঘর কুমার। আমরা চোখ বুজলে তো তা–ও থাকত না।’

‘ক্যামনে থাকব, তুমার ছেরা স্বর্ণকার অইব বইলা মাডির কামে হাত লাগায় না, তাই রঙের কামও আমারই করন লাগে। তার চে সব পুড়াইয়া কালা ঝাই করো, কালা পাতিল বেচলে দুষ কী?’

‘লালের কদরই আলাদা। না পারলে কইয়ো আমিই ল্যাপটাইয়া দেম।’

এই ধারা কথোপকথনের সাথে মেশিনের মতো হাত চলে প্রেমেন্দ্রর। আর চাকাটির ঘুরবারও কোনো বিরতি নেই। তারপরও প্রেমেন্দ্র কুমারের নিশি গুজরান হয় দুশ্চিন্তার মধ্যেই।

সকালে হাদিউল মাস্টার এসে আলাপ জুড়ে দেয়, ‘কী যে আইজকাল বানাও প্রেমেন্দ্র, কুনুডাই নিখুঁত না, সব আতাভুতা। তুমরা না শিল্পী!’

‘ক্যামনে বানাই মাস্টর, আমরার কি আগের মন আছে? কুমারের চলে না পেট। ফর্মা ভালা অইলে না মাল ভালা অইব। আইজকাল শিল্পকর্মের কদর নাই।’

হাদিউল মাস্টার একটা ছাঁচ হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে যে অতটা নিখুঁত নয়।

‘ক্যারে, ভালা কইরা ফর্মা বানাইতে পারো না?’

এ কথার পরপরই দীপালি মুড়ি-গুড় এনে দেয় মাস্টারকে, জলযোগ।

‘ক্যামনে দামি ফর্মা রাহি? এই যে দ্যাহো, এইডাও মাডির তৈরি। কইলাম না, আমরার মন নাই মাস্টর। আইজ চৌদ্দ পুরুষের বাস আমরার এইহানে। এমুনও দিন যায় চৌদ্দ আনারও ব্যবসা অয় না কুমারের।’

প্রেমেন্দ্র পাল ক্রমান্বয়ে ঢুকে পড়ে ইতিহাসে। ‘এই যে দেখছোনা জনিদপুর-লোগাঁও, এইগুলা আছিল বিপ্লবীরার আখড়া। বাবার কাছে শুনছি তাগোর নেতা আছিল জনিদপুরের অজিত কুমার রায়। তার শিষ্য বিনোদকৃষ্ণ ঘোষ, বিমলকৃষ্ণ ঘোষ আর পলিন বাবু। তারা ডাকাতি কইরা টেকা-পয়সা আইনা গরিবরে দিত। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করত তারা সন্ত্রাস কইরা। কেউ যদি অজিত রায়রে কইত, বাবু আপনেরার আসল উদ্দেশ্য কী, বাবু কইতেনÑ ভবিষ্যতে তুমরা রাষ্ট্রের অন্য চেহারা দেখবা, আমরা সেইডাই কায়েম করতে চাই, কামার-কুমার সগলেরই দায়িত্ব নিব রাষ্ট্র। কিন্তু অইল সেইডা? না অইলেও সত্তর-আশি বছর পার অইয়া গেছে, রাষ্ট্র কিছু করল?’

‘তুমার কথায় দেহি এহন রাজনীতির গন্ধ।’

‘আমি কিছু বানাইয়া কই নাই, সবই আমার বাপ-দাদার কতা, পিতা নিত্যানন্দ আর দাদা সদানন্দ পাল।’

‘আর কয়দিন ধৈর্য ধরো দাদা, কিছু না হোক, কুমারগিরির লাইগাও ঋণ-টিন পাইবা।’

‘আরে রাহো তুমার ঋণ, হাত-পাও বান্ধার পলিসি।’

হাদিউল মাস্টার উঠে গেলে প্রেমেন্দ্রর মনোযোগটা বেড়ে যায়। ভাবে যে, এইবার সে ছোটখাটো জিনিস বাদ দিয়ে বড়র দিকে ধাবিত হবে। যারা এখন প্রতিমার গলায় সোনার চেইন পরায়, তারা কিনবার সময়ও অনেক দাম দিয়ে প্রতিমা কেনে। কাজেই এইবার সে গড়বে দুর্গা, অসুর, কার্তিক-লক্ষ্মী। তা ছাড়া সারা বছরই গণেশ আর বীণাপাণির কদর থাকে, সিদ্ধিদাতা আর বিদ্যাদাত্রী। প্রেমেন্দ্রর বাঁক ফেরার বুদ্ধিটা মন্দ নয়। এর মধ্যে অনেকগুলো প্রতিমা সে গড়েওছিল। কিন্তু শ্রীপঞ্চমীর সময় অর্ডার নিয়েও চালান পাঠাতে পারেনি। এবার সে আটঘাট বেঁধেই লাগবে।

কোনো এক দূরগাঁয়ের মেলা শেষে এক রাতে প্রেমেন্দ্র বাড়ি ফেরেনি। সংকীর্তন শুনতে শুনতে রাত কাবার করে। প্রেমেন্দ্রকে বার্ষিক ওরসের ওয়াজ মাহফিলেও সময় কাটাতে হয়। বাপ-দাদার পেশা তার এভাবেই চলে। তা ছাড়া প্রেমেন্দ্ররা মাজারেও মানত করে। কাঁধ থেকে মৃৎশিল্পের ভার নামিয়ে উঁচু কবরের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কী সব বলে। সে শুনেছে মাদার শাহ মাজারের এক গল্প। এইখানে এক জিন্দা পাথরকে কবর দেওয়া হয়েছিল। পাথারকান্দির শাহ্ মজলুল হকের বাড়িতে এক গায়েবি পাথর ছিল। এই বাড়িকে বলা হতো ফকিরবাড়ি। বাড়ির মেয়েরা পাথরটিকে যত্নআত্তি করতে পারত না। উপরন্তু ঘর পরিষ্কার করে এর ওপরই ঝাড়ু রেখে দিত। এক রাতে কাউকে স্বপ্নে দেখানো হলো, ‘আমাকে এত অবহেলার কারণ কী, এতে কি তোমাদের ক্ষতি হবে না? থাক বাবা, তোমাদের ক্ষতির দরকার নাই, আমিই এখান থেকে চলে যাই।’ তারপরই রাতের অন্ধকারে পাথরটি উধাও। এটা নাকি জমির ওপর দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে চলেছিল। তাতে মাটি ও ঘাসের ওপর একটা গভীর দাগ পড়ে যায়। পাথরটি খালের পাড়ে গিয়ে থিতু হয়, যেখানে মাদার শাহ দরগাহ। তখন তো চারদিকের দশ গ্রামে হইচই পড়ে গিয়েছিল। মেলা বা বান্নি উপলক্ষে এখানে ব্যবসা করতে এসে এ রকম হাজার গল্প প্রেমেন্দ্র শুনেছে। এই চত্বরে ধ্যান করতে বসে সে কখনো কখনো নিজেকে দমের মাদার ভেবে বসে।

এখন ঈষৎ শীতের রজনী। রাত ক্রমেই নীরব হতে থাকে। গত বছরের অর্ডার মাইর যাওয়ার দুঃখ ভুলতে সে রাতেই একখানা সরস্বতী সম্পন্ন করতে চায়। যে বাঁশঝাড়টার নিচে সে দেবীর বেদি তৈরি করে, তাতে চন্দ্রালোক পড়ে উজ্জ্বল হয়ে আছে। তারপরও দীপালি একটা কুপি জ্বালিয়ে রেখেছে। রাত গভীর হয় আর প্রতিমার আকৃতি স্পষ্ট হতে থাকে। খানেক পরপরই দীপালি চাঁদের আলোয় হেঁটে হেঁটে মাটির জোগান দেয়। সেই মাটিকে আবার কাদা করে স্বামীর কাছে এগিয়ে আনে। কুপিটা নিবু নিবু করে অবশেষে নির্বাপিতই হয়। দীপালি বলে, ‘তেল শেষ, ভইরা নিয়া আসি।’

‘না দরহার নাই, চান্দের আলোতেই কাম করা সম্ভব, যে ফকফকা। দ্যাহো আইজকার চান্দের আলো বীণাপাণির মতোই সাদা। যেন মা তার সাদা আঁচল বিছাইয়া রাখছেন। চান্দের আসল নাম তো সোম, যা থাইকা সোমবারের উৎপত্তি। আর আমরার হিলচিয়া বাজার অইলো সোমবাইরে বাজার। চাইয়া দ্যাহো নিশিরাইতে পুরা বাজার ঘুমাইয়া আছে।’

‘হ, বাজার ঘুমায়, চান জাগে।’

দু–চার খাবলা মাটি দিয়ে প্রতিমার মূল কাঠামো শেষ করেই প্রেমেন্দ্র দীপালির গায়ে কাদা লেপটাতে থাকে।

দীপালি অস্ফুটস্বরে বলে ওঠে, কুমার!

আমি কুমার হইলে তুমি কুমারী! কুমারীর আসল রূপ আমার জানা।

তুমি তো প্রেমকুমার!

এবার প্রেমেন্দ্র দীপালির কাঁধ থেকে আঁচল খসিয়ে গায়ে আরও কাদা লেপটে দেয়। নুইয়ে পড়া উরসিজের নিচে কাদা গুঁজে দিয়ে টান টান করে ফেলে। আরও লাগিয়ে চূড়ান্ত রূপ দিতে থাকলে দীপালি বলে, ‘চাকের উপরে যেভাবে মাটি রাইখা তুমি ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া শিল্প বানাও, সেইভাবে তুমি আমারে হাতের মুঠিত রাইখা ঘুরাও। কুমার, আমি তো এহন মাডি।’

চাঁদ আরও রোশনাই ছড়িয়ে নীরবে হেসে চলেছে। আর কুমার-কুমারীর শিহরনে বাঁশঝাড়ের পাতা কাঁপছে তিরতির।

‘কুমার, তুমার হাতে আছে ঈশ্বরের ছোঁয়া। তাই তুমি আমারে ঘুরাইতে থাহো। মনে করো আমি চাকের উপরেই খাড়াইয়া আছি, দুই হাত মুঠ কইরা ধরো আমার কোমর।’

প্রেমেন্দ্র কুমারের হাতের জাদুতে রাত আরও দিঘল হতে থাকে। আজ যেন সোম থাকে, না আসে রবি।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ