প্রোক্রাস্টিনেশন এক অদ্ভুত অসুখ। তরুণরাই মূলত এই সমস্যায় আক্রান্ত। এর থেকে মুক্তি সম্ভব। এর জন্য চাই ধৈর্য্য।পড়াশোনা বা কাজ শুরু করতে যখন যাচ্ছিলেন, তখনই মনে হলো, আচ্ছা, একটু ফোনটা চালিয়ে নিই, তারপর শুরু করব। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে গেলেও সেই কাজ শুরু হয় না। একে প্রোক্রাস্টিনেশন বলে। এটি ‘আই উইল ডু ইট লেটার সিনড্রম’ নামেও পরিচিত।
প্রোক্রাস্টিনেশন সাময়িক আরাম দিলেও দীর্ঘমেয়াদে আমাদের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০-২৫% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিয়মিত প্রোক্রাস্টিনেট করেন। এর কারণ হতে পারে বিষণ্নতা, উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসের অভাব বা কখনো ADHD। ১৪ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রোক্রাস্টিনেশনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রোক্রাস্টিনেশনের প্রবণতা কমে।
গবেষণা বলছে, প্রোক্রাস্টিনেট করার কারণে আমাদের স্ট্রেস লেভেল আসলে আরও বেড়ে যায়। প্রোক্রাস্টিনেশনের একটি অন্যতম কারণ কাজের প্রতি বিরক্তি। যদি কোনো কাজকে আপনি বিরক্তিকর বা অপ্রিয় মনে করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি সেই কাজটি পরের জন্য ফেলে রাখার প্রবণতা দেখাবেন।
১৯৯৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সেমিস্টারের শুরুতে প্রোক্রাস্টিনেট করা ছাত্রছাত্রীরা কম চাপ অনুভব করলেও, শেষের দিকে তাঁদের স্ট্রেস, অসুস্থতা ও খারাপ গ্রেডের হার অনেক বেড়ে যায়।
প্রোক্রাস্টিনেশন থেকে বের হওয়া সম্ভব; তবে ধৈর্য প্রয়োজন। প্রথমে, আমাদের কাজের গুরুত্ব বুঝতে হবে এবং সেটি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করতে হবে। কাজের সময় মোবাইল বা বিভ্রান্তিকর জিনিস এড়িয়ে চলুন। কাজ শেষ হলে নিজেকে ছোট পুরস্কার দিন। এই অভ্যাস নিয়মিত চর্চা করলে প্রোক্রাস্টিনেশন জয় করা সম্ভব।
ছবি: পেকজেলসডটকম