সর্বশেষ
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা
যে ৫ প্রাণঘাতী রোগের কারণ হাই কোলেস্টেরল
এক লুকের সঙ্গে আরেক লুকের কোনো মিল নেই টালিউড সুইটহার্ট শ্রীজলার
হজম ক্ষমতা বাড়াতে মেনে চলুন কিছু টিপস
গ্রীষ্মে রোদে পোড়া ও নিস্তেজ ত্বককে বিদায় জানাতে মেনে চলুন এই ৭টি হাইড্রেশন হ্যাকস
হাই ট্রাইগ্লিসারাইড : স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
খালি পেটে পেঁপে পাতার রস খেলে মিলবে যেসব উপকার
৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফিংয়ে বিশ্বরেকর্ড
সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত

শিশুর হাঁটা শেখার সময় ওয়াকার ব্যবহার কি ভালো?

অনলাইন ডেস্ক

শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হাঁটতে শেখা। সাধারণত ১২ থেকে ১৮ মাসের মাঝেই হাঁটতে শিখে যায় শিশু। কিছু আগে–পরেও হতে পারে। দেখা যায় দ্রুত হাঁটা শেখার জন্য অনেক অভিভাবকই শিশুদের ওয়াকার দিয়ে থাকেন।

কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুকে ওয়াকার দেওয়া হয়, তাদের বরং বিকাশ বিলম্বিত হয়। যত বেশি ওয়াকার ব্যবহার করা হয়, শিশুর দাঁড়ানো এবং হাঁটা তত পিছিয়ে যায়। ওয়াকার শিশুকে সোজা করে আটকে রাখে। এতে হাঁটার জন্য প্রয়োজনীয় ভারসাম্য রাখতে শেখে না শিশু।

মানসিক বিকাশ, ভাষাগত দক্ষতাতেও তারা পিছিয়ে থাকে। ওয়াকার ব্যবহারকারী শিশুর মধ্যে বিভিন্ন দূরত্ব, গভীরতা এ ধরনের ত্রিমাত্রিক ধারণাগুলো তৈরি হয় না।

বলা হয়ে থাকে ‘হাঁটতে শেখে না কেহ না খেয়ে আছাড়’। একটি শিশু প্রথমে দাঁড়াতে শেখে। এরপর অল্প অল্প করে হাঁটার চেষ্টা করে। মাঝেমধ্যে পড়ে যায়, আবার উঠে হাঁটার চেষ্টা করে। এভাবেই শিশুর শরীরের কোমর, পা এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিণত হতে থাকে। আবার এই সময়েই শিশুর মস্তিষ্কের যে অংশগুলো ভারসাম্য বজায় রাখার কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, তা–ও পরিণত হতে থাকে।

এভাবে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি একসময় শিশু ভালোভাবে রপ্ত করে এবং পুরোপুরি হাঁটতে শেখে। ওয়াকার বা অন্য ডিভাইস ব্যবহার করলে শিশুর বিকাশের এই প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হয়।

ওয়াকার ব্যবহারে শিশুর দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও নেহাত কম নয়। ওয়াকারে থাকা অবস্থায় শিশু সিঁড়ি দিয়ে নামতে চেষ্টা করে মাথা ও ঘাড়ে মারাত্মক আঘাত পেতে পারে, যার প্রভাব সারা জীবনও বয়ে নিয়ে চলতে হতে পারে।

ওয়াকারে আঙুল আটকে ব্যথা পেতে পারে শিশু, কেটে যেতে পারে আঙুল। অনেক সময় ওয়াকার থেকে নিচু হয়ে কিছু তুলতে গিয়ে উল্টে বা নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে শিশু। এ জন্য পৃথিবীর অনেক দেশেই বাচ্চাদের ওয়াকার ব্যবহার নিষিদ্ধ অথবা সীমিত করা হয়।

সর্বোপরি বড়দের মতো শিশুরাও বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে করতে পারলে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তাই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ও বিকাশের পরবর্তী ধাপগুলোয় সময়মতো পৌঁছাতে সাহায্য করতে শিশুকে একা একাই হাঁটতে শেখার চেষ্টা করতে দেওয়া উচিত।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ