আপনি প্রায়শই দেখেছেন হয়তো যে অনেকেই নবজাতকের মাথার নীচে সরষের বালিশ ব্যবহার করে। আসলে নবজাতক জন্মের সময় মাথা ঘোরাতে পারে না। সে একই অবস্থানে শুয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তার মাথার আকৃতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত শিশুর মাথার আকৃতি ঠিক রাখতে অনেকেই ওই সময় সরষের বালিশ ব্যবহার করেন।
কিন্তু সরষের বালিশের উপকারিতা শুধু শিশুর মাথার আকৃতি ঠিক রাখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আসলে জন্মের সময় শিশুর মাথা খুবই নরম থাকে। একটু অসাবধানতাও শিশুর জন্য কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ডেকে আনতে পারে। সরষের বালিশ ব্যবহার করলে তার মাথায় একটা সাপোর্ট থাকে এবং মাথার কোনও রকম ক্ষতিকর প্রভাবের আশঙ্কা থাকে না। এখানে এর অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে জানুন।
ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে
সরষে গরম বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় শিশুর মাথার নীচে সরষের বালিশ ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই বালিশ তাকে স্বাভাবিক উষ্ণতা দেয় এবং ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় প্রসবের সময় শিশুর মাথার আকৃতি খারাপ হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে মাথার নীচে সরষের বালিশ রাখলে মাথা সঠিক আকৃতিতে ফিরে আসে।
মাথা এবং ঘাড় রক্ষা করে
শিশুর মাথা ও ঘাড়ের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই এটিকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। এর জন্য সরষের বালিশ একটি ভাল বিকল্প। এটা সহজে নষ্ট হয় না। এই বালিশের কারণে শিশু খুব সহজেই মাথা ঘোরাতে পারে। এমন অবস্থায় সে অনেক বিশ্রাম পায় এবং তার মাথা ও ঘাড় যে কোনও ধরনের আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
দ্রুত মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে
সরষের বালিশের নরম সুতি কাপড় শিশুর মাথার ত্বককে সংবেদনশীল করে তোলা থেকে রক্ষা করে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এটি ব্যবহার করে শিশুর ভালো ঘুম হয়। এর ফলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। অতএব, আপনার সন্তানের ক্ষেত্রেও সরষের বালিশ লাগাতে ভুলবেন না।
কীভাবে সরষের বালিশ তৈরি করবেন–
৫০০ গ্রাম সরষে নিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এটিতে কোনও আর্দ্রতা থাকা উচিত নয়। এক মিটার সুতির কাপড় নিন এবং তিন দিক থেকে সেলাই করুন। এবার খোলা অংশ থেকে সরষে ভরে দিন। এর পরে খোলা দিকটিও সেলাই করুন। ব্যস তৈরি সরষের বালিশ। এখন এই বালিশের উপরেও একটি নরম কাপড়ের আবরণ রাখুন, যাতে এটি ময়লা হয়ে গেলে সহজেই ধুয়ে ফেলা যায়।