সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে চলছে বিরোধ। এমন অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের সধারণ মানুষ ও পুলিশের প্রতি পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন, ‘মালদহের সঙ্গে বিহারের, ঝাড়খন্ডের ও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। তাই প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনো গুন্ডা এসে গুন্ডাগিরি করতে না পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধে না জড়াতে সাধারণ মানুষের প্রতি পরামর্শ দিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘ওপার বাংলায় (বাংলাদেশ) কিছু সমস্যা হচ্ছে। ওটা দেখার দায়িত্ব বিএসএফের হাতে। যদি কোনো অন্যায় হয় আমরা দেখে নেবো। কিন্তু বিএসএফের সঙ্গে ওদের কোনো বিষয়ে আপনারা যাবেন না।’
রাজ্যের পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পুলিশকে বলব মাইকে ঘোষণা করে ভারতের লোকজনদের সেখান থেকে সরে আসতে বলুন। বাকিটা প্রশাসন দেখে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, একদিন হয়তো আমাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন, কোনো সমাজবিরোধী বা জঙ্গি যাতে কারো বাড়ি বা হোটেল ভাড়া নিয়ে বাসা না বাঁধতে পারে । কোনো সমাজবিরোধীই যেন ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে। তাহলে তা দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, রাজ্যের ক্ষতি। শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মালদহের ইংরেজবাজারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মমতা ব্যানার্জী।
মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসা মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে গিয়ে আটকে গিয়েছিল, তাদেরকে দশ হাজার রুপি দেবো আগামী বছর থেকে।’
তিনি আরও বলেন, আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। এ বিষয়ে মমতা বলেন, আরজি করের বিষয়ে আমি বলেছিলাম, আমরা ফাঁসি চাই। যারা এত পৈশাচিক অত্যাচার করে, যদি কেউ দানবিক হয়, পাশবিক হয়, তাহলে সমাজ কি মানবিক হবে?