রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি এর ভূমিকা অপরীসিম। তবে শীতে শুষ্ক হয়ে পড়া ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। বিভিন্ন ধরনের লেবু এবং সব্জিতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। শুধু খাওয়ার মধ্যেই এর উপকারিতা আছে তা নয় ব্যবহার করা হয় ত্বকের যত্নেও।
শীতের সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকায় ত্বকও তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। শুষ্ক হয়ে পড়ে মুখ, হাত-পা। শুষ্কভাব কমাতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ভিটামিন-সি। বলিরেখা কমাতেও এটি দারুণ উপকারী। ভিটামিন সি, ব্রণ, ত্বকের জ্বালা দূর করতেও সাহায্য করে। এটি ত্বককে ডিহাইড্রেশন এবং ব্রেকআউট থেকেও সুরক্ষিত রাখবে।
ত্বকের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন ভিটামিন সি?
১. ভিটামিন সি, সিরাম, মাস্ক, ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের যত্নে। তবে শুধু ভিটামিন সি নয়, তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের উপকরণের মিশেলে তৈরি প্রসাধনী বেছে নেওয়া যায়।
২. ত্বকে ভিটামিন সি ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ উপায় হল সিরাম ব্যবহার করা। রাতেই এই সিরাম ব্যবহার করা ভাল। সকালেও মাখতে পারেন। তবে তার উপরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে।
৩. প্রথমেই মুখ মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তার পর ব্যবহার করুন স্ক্রাবার। টোনার মাখার পরে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন সি সিরাম মেখে নিন। এর পরে ময়েশ্চারাইজার বা রাতের মাখার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা দূর হবে, ত্বক হবে উজ্জ্বল।
৪. ত্বক নিয়ে চর্চা করেন যাঁরা, তাঁরা বছরভর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে বলেন। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার রাখুন ত্বকের যত্নে।
৫. মুখের জেল্লা ধরে রাখতে মাসে ২ থেকে ৩ দিন মাস্ক ব্যবহার করা ভাল। ভিটামিন সি রয়েছে, বাজারে চলে এমন মাস্ক বেছে নিতে পারেন। চাইলে ঘরেও তা তৈরি করে নিতে পারেন। কমলালেবুর খোসা ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস। ২ টেবিল চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন। তবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পরে তা ব্যবহার করতে হবে।
৬. চোখের চারপাশের ত্বক স্পর্শকাতর। এই অংশে বলিরেখা আগে দৃশ্যমান হয়। মুখের যত্নের পাশাপাশি চোখের চারপাশে আই ক্রিম মাখা প্রয়োজন।