গাইবান্ধা জেলা শহরের ২নং রেলগেট সংলগ্ন উদয়ন প্রিন্টিং প্রেস মালিক আব্দুর রউফ মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পশ্চিম উত্তরে রেল লাইনের পূর্ব পাশের্^ রান্নার চুলা বসানো নিয়ে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মারপিটের ঘটনায় আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে মোঃ লিমন মিয়াসহ ২ জন গুরত্বর আহত হয়।
জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৪ টার দিকে আব্দর রউফ মিয়া হরিজন সম্প্রদায়ের সুন্দরী রানীর পরিবারকে রান্না করা চুলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরাতে বললে হরিজন সম্প্রদায়ের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছুক্ষন পর আবারও উভয় পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের সুন্দরী রানীসহ তার লোকজন একত্রি হয়ে আব্দুর রউফ মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দরজার থাই গ্লাস ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং দোকান ভাংচুর করে। দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ অর্থ লুঠ করে নিয়ে যায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে থাকা আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে মোঃ লিমন মিয়া বাধা প্রদান করলে তার মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করে হরিজন সম্প্রদায়ের সুন্দরী রানীর ছেলে ও তার লোকজন। স্থানীয় জনতা আঘাতপ্রাপ্ত আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে লিমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে আশংখাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আব্দর রউফ মিয়ার ছেলে মোঃ লিমন মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার কথা শুনে হরিজন সম্প্রদায়ের সুন্দরী রানীসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। ইতিপূর্বে সেনাবাহিনীর একটি টীম মাদকের সাথে জড়িত হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনকে গ্রেফতার করেছিল।
গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার ও সেনাবাহিনীর একটি টীম ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।