সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

নারীর গর্ভকালীন পরিবর্তন

অনলাইন ডেস্ক

একজন নারীর জীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় তার গর্ভকালীন অবস্থা। প্রসবের মধ্য দিয়ে একজন সাধারণ মানবী মায়ের মতো মহিমান্বিত একটি স্থানে উন্নীত হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না ১০ মাসের মতো এই দীর্ঘ গর্ভকালীন কী ধরনের শারীরিক পরিবর্তন আসতে পারে।

গর্ভকালীন একটি নারীদেহে আমূল পরিবর্তন হয়। মূলত এই সময়টিতে প্রাকৃতিকভাবে একটি নারীদেহকে ঢেলে সাজানো হয়। গর্ভকালীন নারীদেহে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনগুলো হচ্ছে-

১. জরায়ুর আকার পরিবর্তন- একজন নারীর জরায়ু মূলত একটি ছোটখাটো কমলালেবুর আকারের। কিন্তু একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন সেটির আকার ৫০০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে একটি বড়সড় তরমুজের আকার পর্যন্ত ধারন করতে পারে। মূলত শিশুকে ধারণ করার জন্যই এই আকৃতিগত পরিবর্তন।

২. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা- শিশু যখন প্রাথমিকভাবে ভ্রূণাবস্থায় থাকে তখন একজন নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চরম মাত্রায় কমে যায়। এটি মূলত হয়ে থাকে যাতে করে গর্ভবতী নারীদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভ্রূণটিকে শত্রুভেবে ধ্বংস করতে না পারে। এভাবেই একজন মা নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে সন্তানকে রক্ষা করে।

৩. ইস্ট্রোজেন হরমোনের তারতম্য- সাধারনত একজন নারী এক বছরে যে পরিমাণে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণ করে, গর্ভাবস্থায় এক দিনে তার থেকেও বেশি হরমোন করে একটি নারীদেহ। এই মাত্রা অতিরিক্ত হরমোনের প্রভাবেই স্তনে শিশুর জন্য দুগ্ধের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও গর্ভবতী নারীর গলার স্বরেও পরিবর্তন আসে ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে। তবে এক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক হচ্ছে এই হরমোন চুল ঘন এবং মজবুত করতে সহায়তা করে। ধারণা করা হয়, এই হরমোনের প্রভাবেই গর্ভাবস্থায় নারীদের টক এবং অন্য সব উদ্ভট খাবারের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পায়।

৪. রিলাক্সিন হরমোনের প্রভাব- গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরের রিলাক্সিন হরমোন বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে হাড়ের লিগামেন্টগুলো নরম হতে শুরু করে। এতে করে প্রসবের সময়ে একজন নারীকে যখন অনেক চাপ প্রয়োগ করতে হয় তখন কোমরের হার কিছুটা সরে গেলেও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

৫. হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি- নারীদেহে সাধারন সময়ের থেকে গর্ভাবস্থায় হৃৎপিন্ডের রক্ত চলাচলের মাত্রা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। শিশুদেহে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহের জন্যই এই পরিবর্তন। অনেক সময়ে অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহের ফলে নারীদের ত্বকে লাল ছোপ ছোপ দাগ পর্যন্ত দেখা যায়।

৬. পানি জমা- গর্ভাবস্থায় শিশুর প্রয়োজনে নারীরদেহে পানি সরবরাহের এবং পানি জমে থাকার হার বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এতে করে একজনের হাত এবং পায়ে পানি জমে ফুলে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়।

৭. ঘ্রাণশক্তি বৃদ্ধি- একজন গর্ভবতীর নারী প্রখর ঘ্রাণশক্তি সমৃদ্ধ হয়ে থাকেন। তিনি সহজেই বুঝতে পারেন কোন খাবারটি তার জন্য স্বাস্থ্যকর। এতে করে বাশি-পচা খাবার থেকে মা এবং শিশু দুইজনই নিরাপদ থাকে।

৮. মুখের দুর্গন্ধ এবং বিপাকের হার- গর্ভাবস্থায় একজন নারীর দাঁতে অতিরিক্ত প্লাক জমে। এর ফলে দাঁতে ব্যথা, রক্তক্ষরণ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তীব্র দুর্গন্ধও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এই সময়টিতে শিশুর পুষ্টির প্রয়োজনে মায়ের বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়। এতে করে ক্ষুধা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ঘাম এবং অস্থিরতাও দেখা দিতে পারে।

এসব পরিবর্তনের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় একজন নারীর বুকে এবং কোমরে ব্যথা কিংবা বিনা কারনে হতাশায় ভোগা খুবই সাধারণ একটি লক্ষণ। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, একজন নারীর পাশাপাশি একজন পুরুষেরও একই ধরনের মানসিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এমনকি কিছু কিছু সময়ে একজন পুরুষও নারীর সাথে পাল্লা দিয়ে কোমরের ব্যথা, জ্বর এবং সর্দিতে ভুগে থাকেন। মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় কওভেড সিনড্রোম।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ