বিশ্ব বাজারে টানা সাত সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলছে স্বর্ণের দাম। মূলত সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধকে কেন্দ্র করে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধিরে এই ঊধ্বমুখীতা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে আসছেন। যা এরই মধ্যে বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে পাল্টা পদক্ষেপও আসছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৯৩৬ দশমিক ৭৯ ডলার হয়েছে। সপ্তাহেরভিত্তিতে বেড়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে মার্কিন স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৯৬১ দশমিক ৪০ ডলার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি তিন হাজার ডলারে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বৈশ্বিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক।
এর আগে ২০২৪ সালের মতো চলতি বছরও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বের প্রধান ব্যাংকগুলো। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি। এই প্রেক্ষাপটে স্বল্পমেয়াদে স্বর্ণের দামের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে বৈশ্বিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক।
এবিসি রিফাইনারির প্রাতিষ্ঠানিক বাজারের বৈশ্বিক প্রধান নিকোলাস ফ্র্যাপেল বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য, শুল্ক ও বৃহত্তর বৈদেশিক নীতিতে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা স্বর্ণের দাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প তার অর্থনৈতিক দলকে নির্দেশ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিতে কর আরোপকারী প্রতিটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে। এই সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতি মূলক পদক্ষেপে স্বর্ণের চাহিদা আরও বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারত আমাদের ওপর যে শুল্ক বসাবে, আমরাও তাদের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করবো।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা সব ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এই নতুন বাণিজ্যনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কানাডার ওপর।
সূত্র: রয়টার্স