জুলাই-আগস্টে গণহত্যার মামলায় কারাগারে আছেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কজন মন্ত্রী-এমপি। আদালতে কিংবা ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হওয়ার পর একাধিকবার তাদের হাসিমুখের ছবি এবং বার্তা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে কারাগারে যারা ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেরই প্রশ্ন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাগারে থাকা এসব ব্যক্তিরা কীভাবে ডিভিশন পান।
আলোচিত এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
সেই পোস্টে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, আগে মন্ত্রী ছিল বলে কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার বিধানে পরিবর্তন আনার বিষয়ে কথা বলছি। গণহত্যাকারীদের কারাগারে ডিভিশনে থাকা দুঃখজনক।
উল্লেখ্য, যারা কারাগারে ডিভিশন পান তাদের আলাদা রুম বা সেলে রাখা হয়। সেখানে থাকে খাট, ভালো বিছানা, টেবিল, চেয়ার, তোষক, বালিশ, তেল, চিরুনি, আয়নাসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের জন্য একজন করে সহকারীও দেওয়া হয়। তারা সংশ্লিষ্ট বন্দির প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে দেন। পুরুষ বন্দির সাহায্যকারী হিসেবে থাকে একজন পুরুষ আর নারী বন্দির জন্য থাকে একজন নারী সহকারী।
এ ছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে কারাগারের ভেতরে পাঠিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বন্দির চাহিদার প্রেক্ষিতে বইপত্র এবং দু-তিনটি দৈনিক পত্রিকাও থাকবে। সাধারণ বন্দিদের চেয়ে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির খাবারের মানও যথেষ্ট ভালো থাকে।