গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে চলতি সপ্তাহে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডিয়ন সার। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। খবর দ্য গার্ডিয়ান। তিনি বলেন, গতকাল রাতে (সোমবার) আমাদের মন্ত্রীসভার একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সপ্তাহেই তা হবে।
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি তিন ধাপে হওয়ার কথা। প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে গত ১৯ জানুয়ারি। এর মেয়াদ ৪২ দিন। তবে প্রথম ধাপের ১৬ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর কথা ছিল। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। এবার দেরিতে হলেও দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির কথা ছিল। এখন পর্যন্ত ১৯ ইসরাইলিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী শনিবার আরও ছয়জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। আর আটজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে চারজনের মরদেহ আগামী বৃহস্পতিবার হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে হামাস।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ইসরাইলের অবশিষ্ট জিম্মি মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। সেইসঙ্গে গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করারও কথা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি হয়নি।
সবশেষ গত শনিবার ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের মাধ্যমে তাদের ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে গত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি।