স্তন্য বলতে স্তন থেকে নিঃসৃত দুগ্ধকে বোঝায়। মায়ের বুকের দুধ নবজাতকদের পুষ্টি সরবরাহ করে। স্তন্যে নবজাতকের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান যেমন প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ঠিক মতো দুগ্ধ উৎপাদিত হয় না মায়ের শরীরে। এই লক্ষণ মা এবং সন্তান কারও জন্যেই ভাল নয়। মূলত পুষ্টির অভাব থেকেই স্তন্যের পরিমাণ কমে আসে। তাই নতুন মায়েদের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং স্তন্যের পরিমাণ বাড়াতে কিছু কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে হবে মায়েদের।
ওটস: ওটস আয়রনে ঠাসা একটি খাবার। আয়রনের ঘাটতি দুধের সরবরাহ কমাতে পারে, তাই নতুন মায়েদের খাদ্যতালিকায় ওটস অন্তর্ভুক্ত করলে এই সমস্যা কমতে পারে।
সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, মেথি পাতা এবং সর্ষে শাকের মতো সবুজ শাকসবজি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফোলেটের মতো খনিজে সমৃদ্ধ। পাশাপাশি এগুলি বিটা-ক্যারোটিন এবং রাইবোফ্লাভিনের খুব ভাল উৎস। এই উপাদানগুলি স্তন্যের পরিমাণ বাড়াতে খুবই কার্যকরী। তাই প্রতিদিন এক বা দুই ধরনের সবুজ শাকসবজি খাওয়া চাই-ই চাই।
গাজর: বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। স্তনদুগ্ধ উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যকর দুধের সরবরাহ বজায় রাখার জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। গাজর কাঁচা, রান্না বা জুস করে খাওয়া যেতে পারে।
বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজে প্রচুর পরিমাণে ইস্ট্রোজেন থাকে, যা স্তন দুগ্ধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নতুন মায়েরা তাই আখরোট, কাজু, ফ্লেক্সসিড খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। জিরেও দুধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।