দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে অবশেষে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে সেতু যমুনা রেলসেতু। এ সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। যমুনা রেলসেতু দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ভাড়া বাড়বে তা আগে থেকেই বলে আসছিল কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনের পরদিনই অর্থাৎ বুধবার রেলসেতু দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে এতে ক্ষুব্ধ অনেক যাত্রী।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ (১৯ মার্চ) থেকে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনের আসনের শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া বেড়েছে ৪৫ থেকে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত।
বুধবার সকারে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন। এ ট্রেনে রয়েছেন আব্দুর রহমান নামে এক যাত্রী। ঈশ্বরদীর বাসিন্দা আব্দুর রহমান প্রায়শ ট্রেনে করেই রাজধানীতে যান। বুধবার ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে ৩৯০ টাকায় শোভন চেয়ারে টিকিট কাটেন তিনি। গত সপ্তাহে তিনি এ ট্রেনে ঢাকা গিয়েছিলেন ৩৪০ টাকায়। রেলসেতুর কারণে তাকে ৫০ টাকা বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যেমুনা রেলসেতু দিয়ে প্রতিদিন ১৫ জোড়া আন্তঃনগর ও একটি জোড়া মেইল ট্রেন চলাচল করবে। সেতু দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনের আসনের শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৪৫ থেকে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত। রেলসেতুর সমন্বিত দূরত্বের নিয়ম অনুযায়ী এ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
আগের যমুনা বহুমুখী সেতু ওপর দিয়ে ট্রেন পাড়ি দিতে সময় লাগতো ২০ মিনিট। এখন সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগবে সাড়ে তিন মিনিট।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম কুমার কুন্ডু বলেন, রেলওয়ের নিয়মানুযায়ী নবনির্মিত যমুনা রেলসেতুর ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। যাত্রীরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন বলে আশা করছি।