সর্বশেষ
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
যে ফলগুলো খেলে গরমে আপনার চুল ভালো থাকবে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুফিউর
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস
রাকসুর চূড়ান্ত বিধিমালা হয়নি, জুনে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, ভোগান্তি যাত্রীদের
নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান
৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ডাক
সিইসির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি
ক্যাস্ট্রলের আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর রক এনার্জি
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, প্রশাসন আসলেই কার পক্ষে?
৮ মাস পর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল  
সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

বিএনপি ও আ. লীগকে এক পাল্লায় মাপা অনেক বড় অবিচার: মামুনুল হক

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এক পাল্লায় মাপা ‘অনেক বড় অবিচার’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো ইসলামী সংগঠন নয়, বিএনপিও কোনো ইসলামী সংগঠন নয়। তবে এই দুটি সংগঠনের মধ্যে অনেক ঐতিহাসিক পার্থক্য রয়েছে। ঠিক যেমনিভাবে আবু জাহেল ও আবু তালেব- কেউ কিন্তু ইসলামের পথে অনুসারী ছিলেন না। কিন্তু কেউ যদি আবু জাহেল ও আবু তালেবকে এক পাল্লায় মাপে তার চেয়ে বড় জালেম আর কেউ হতে পারে না।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ছাত্রদলের কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, ইসলামী রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিএনপি আবু তালেবের ভূমিকায় আর আওয়ামী লীগের আগাগোড়াই আবু জাহেলের ভূমিকা। কাজেই এই জন্য বিএনপিকে একথা মনে রাখতে হবে, তার নেতৃত্বকে এই কথা মনে রাখতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে মামুনুল হক বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপনারা একটা আদর্শের রাজনীতি করেন আমরা আরেকটা আদর্শের রাজনীতি করি। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, সেটা হল বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং ইসলামী শক্তি পরস্পরকে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। যদি জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং ইসলামী শক্তির মধ্যে বিভেদ তৈরি হয় তাহলে বাংলাদেশ বিপন্ন হবে। বাংলাদেশ বিরোধী ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার শক্তিশালী হবে। যারা বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতে চায় তারাই স্বাধীনতার শত্রু ; বাংলাদেশের শত্রু।

ছাত্রদলের ওই অনুষ্ঠানে মামুনুল হক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একদিন পর ৬ আগস্ট রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেখানে আমাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে কথা হয়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেদিনের কথোপকথনের প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, হাসপাতালে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সহযোগিতায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার দীর্ঘ সময় আলাপ করার সুযোগ হয়েছিল।

দীর্ঘ এই আলোচনায় বেগম জিয়ার একটি বিষয়ে আমি খুবই অবাক হয়েছি। জীবনের শেষ সময় এসে শেখ হাসিনার দ্বারা তিনি যেভাবে নিগৃহীত, অপমানিত, লাঞ্চিত হয়েছেন, নিজের প্রিয় ভিটা-মাটি হারিয়েছেন, বছরের পর বছর কারাগারে দিন কাটাতে হয়েছে, যার ওপর অত্যাচার আর নির্যাতনের কোনো সীমা ছিল না। সেই মানুষটি সঙ্গে হাসিনার পতনের পর কথা বলার সময় তখন তো তার ওপর হওয়া বিগত দিনের অত্যাচার-নির্যাতন, শেখ হাসিনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু আমি বিস্মিত হলাম, তার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের মধ্যে একবারও শেখ হাসিনার নাম উচ্চারণ করেনি।

মামুনুল হক বলেন, সে সময়ে তিনি (খালেদা জিয়া) আমাকে শুধু দুটি বিষয়ে বলেছেন। একটি হচ্ছে— আমার প্রয়াত বাবা শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের সঙ্গে তার রাজনীতির কিছু স্মৃতিচারণ। আর দ্বিতীয়টি হলো- তিনি বললেন, আপনাদের কথা মানুষ সব সময় শোনো; মানুষকে বলেন তারা যেন রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট না করে।

আমি অবিভূত হয়েছি তার এসব কথা শুনে। আমি খেয়াল করে দেখলাম তার কিন্তু অতীতের কোনো দুঃখ-কষ্টের কথা মনে নেই। তার শুধু মনে আছে দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালবাসা, দেশের সম্পদের প্রতি ভালোবাসা। আমি মনে করি আপনারা যারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করে তাদের উচিত বেগম জিয়ার থেকে দেশপ্রেমের শিক্ষা নেওয়া।

বেগম খালেদা জিয়া আমাদেরকে বলতেন, আমরা (বিএনপি) ইসলাম প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করি না; তবে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আপনারা যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করেন, আপনারা সামনে এগিয়ে গেলে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাবেন, বিরোধীতা পাবেন না।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ