পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলায় বন্দুকযুদ্ধে সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেন ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কমপক্ষে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান (আইবিও) পরিচালিত হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘অভিযানে নিহত ক্যাপ্টেন হাসনাইন একজন সাহসী অফিসার ছিলেন এবং পূর্ববর্তী অভিযানগুলোতে তার সাহস এবং সাহসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ’
আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অসংখ্য হামলার পাশাপাশি নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই এলাকায় একটি স্যানিটাইজেশন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সাহসী তরুণ অফিসারদের এই ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি হচ্ছে দেশটি।
‘পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ নামে একটি থিংক ট্যাংক’র প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে – যা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি।