সর্বশেষ
যে কারণে মেসিকে পছন্দ জানালেন রোনালদো
এবার আল্লু অর্জুনের নায়িকা হচ্ছেন দীপিকা
আলোচিত স্টারলিংক নিয়ে হোয়াইট হাউসের ভয়ংকর তথ্য ফাঁস
এ যেন অন্য তৃণা, চোখ ধাঁধালেন ৭টি বোল্ড লুকে
ঈদে মেকআপের জন্য ত্বক প্রস্তুত করার চারটি ধাপ
শাকিব-সাবিলা, রাজ-ফারিণ নাকি সাদিয়া-সৌম্য, কোন জুটি বেশি নজর কাড়ছে এবার ঈদে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় সেনাপ্রধানের
বিমান হামলার পর লেবাননকে বড় হুমকি দিল ইসরায়েল
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশকে ‘ওয়ার্ক ভিসা’ দিবে না সৌদি
জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না: ডা. শফিকুর রহমান
‘হানাহানির রাজনীতি ফিরে আসুক তা চাই না’
ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজে মানুষ
অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, এখন কেমন আছেন ক্যানসারে আক্রান্ত দীপিকা
লড়াই করে আদায় করতে হয়েছিল পশু কোরবানির অধিকার
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনার দিনক্ষণ জানালেন ট্রাম্প

অফিস মিটিং এ কনফিডেন্ট থাকার ৭টি কার্যকরী টিপস

অনলাইন ডেস্ক

নতুন নতুন জয়েন করেই অফিসের মিটিং! কী করবেন কী বলবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না? কাজের ক্ষেত্রে এই মিটিং বা গেট টুগেদারগুলো নিয়ে প্রথমদিকে আমাদের বেশ জড়তা ও অস্বস্তি কাজ করে। কিন্তু জানেন কি, ঠিকঠাক স্ট্র‍্যাটেজিতে এই পরিস্থিতিগুলো কতটা আয়ত্ত্বে নিয়ে আসা যায়? এজন্য প্রয়োজন শুধু একটু কনফিডেন্স, সাথে কিছু টিপস আর ট্রিকস ফলো করা! চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু টিপস যেগুলো অফিস মিটিং এ আপনাকে রাখবে কনফিডেন্ট –

১.সময় নিয়ে রিসার্চ ও প্র‍্যাকটিস জরুরি

যে বিষয় নিয়ে কথা বলবেন, তা সম্পর্কে অবশ্যই আগে থেকে ভালোভাবে জেনে নিবেন। এতে করে কীভাবে কথা বলতে হবে, সে বিষয়ে আগে থেকেই প্রিপারেশন নেওয়া যাবে। যেমন ধরুন, হতে পারে মিটিং এ আপনি একটা নতুন আইডিয়া দিতে যাচ্ছেন। আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে এই আইডিয়াতে সাফল্যের সম্ভাবনা কতটুকু, কী কী বাধা আসতে পারে, কতদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা যেতে পারে এসব সম্পর্কে প্রোপার রিসার্চ ও ক্যালকুলেশন করে নিতে পারবেন। এতে করে যখন মিটিংয়ে কথা বলবেন, আপনার আলোচনা বেশ ভালো ভিত্তি পাবে, এবং অন্যান্যদের তুলনায় আপনি অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।

২. ড্রেস কোড হতে হবে ঠিকঠাক

যেকোনো অকেশনের জন্য প্রোপার ড্রেসিং মানে হচ্ছে অর্ধেক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলা। কর্পোরেট মিটিং এ আউটফিট পারফেক্ট হলে কনফিডেন্স বেড়ে যায় কয়েকগুণ। চেষ্টা করবেন ফরমাল ড্রেস কোড মেনটেইন করতে। এমন পোশাক পরবেন যা আপনার জন্য অস্বস্তিকর না হয়, আবার খুব ক্যাজুয়াল ও না হয়। কালারের ক্ষেত্রে হালকা কালারগুলোই বেশি স্যুইটেবল। স্যুট, ব্লেজার, সালওয়ার কামিজ, শাড়ি যাই পরুন না কেন, তা হবে পরিপাটি এবং মেকআপ হবে মার্জিত কিন্তু ব্যক্তিত্বপূর্ণ। ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হতে পারলে আয়নায় তাকিয়ে দেখতে পাবেন, আপনার কনফিডেন্স নিজে থেকেই কতটা বেড়ে গেছে।

৩. প্রশ্ন করার অভ্যাস

অফিসের মিটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া ও প্রশ্ন করা জরুরি। তাই কারো কথা বুঝতে কোনো গ্যাপ থাকলে, অথবা বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। এতে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ প্রকাশ পাবে। একই সাথে সপ্রতিভ হয়ে যেখানে দরকার সেখানে মতামত দিতে পারেন। এতে শুধু নিজের কাজ নয়, অফিসের সব গুরুত্বপূর্ণ দিকেই যে আপনার আগ্রহ আছে, তা স্পষ্ট হবে। প্রশ্ন করতে আন ইজি লাগলেও জড়তা কাটিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন করে ফেলতে পারলেই আপনার কনফিডেন্স ফিরে আসবে, তা নিজেই টের পাবেন।

৪. সময়ের আগেই মিটিংয়ে জয়েন করা

অনেক সময় যেটা হয়, অফিসের মিটিং রুম বা মিটিং স্পেসটা শুধুমাত্র স্পেশাল অকেশনে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে সেই জায়গাটা কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে অস্বস্তি। এটা কাটাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে আসুন, মিটিং স্পেসটা ঘুরে দেখুন, কলিগদের সাথে কথা বলুন। এতে করে আস্তে ধীরে জড়তা কেটে যাবে, দেখবেন আগের মত দমবন্ধ অথবা নার্ভাস লাগছে না। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ও অপরিচিত পরিবেশকে এভাবে নিজের মতো করে কমফোর্টেবল করে নিতে পারলে তা আপনার কনফিডেন্স এমনিই বাড়িয়ে দেবে আর আপনার পারফরম্যান্সকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।

৫. নিজের উপর বিশ্বাস রাখা

মানুষ নার্ভাস হয়ে প্রথমেই যেসব চিন্তা করে, সেগুলোর মধ্যে একটা হলো, তিনি হয়তো অন্যদের মতো দক্ষ বা মেধাবী নন। এ ধারণা আমাদের মনে দ্বিধার জন্ম দেয়, তাই নিজের উপর প্রথমেই বিশ্বাস রাখতে হবে। অফিস মিটিং এ কী বলবেন তা ঠিক করে নেয়া, কনফিডেন্স এর সাথে সেগুলো প্রেজেন্ট করা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রাখা। আপনি যোগ্য বলেই এখানে আছেন, এবং আপনার যোগ্যতাই আপনাকে সামনে নিয়ে যাবে, এ ধরনের পজিটিভ মাইন্ডসেট রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনাকে কনফিডেন্ট দেখেই অন্যরা আপনাকে ভরসা করবেন।

৬. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ

ড্রেসিং এর সাথে সাথে বডি ল্যাঙ্গুয়েজও পজিটিভ রাখতে হবে। আপনার পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পুরো পরিস্থিতিই চেঞ্জ করে দিতে পারে। শরীর সোজা রেখে কাঁধ টানটান রাখা, মনোযোগের সাথে আগ্রহী চোখে মিটিং অ্যাটেন্ড করা, এগুলোই পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, যা মিটিংয়ে সিচুয়েশন বুঝে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

৭. নিজস্বতা রাখতে হবে

নিজেকে জোর করে অন্য কারো মতো দেখানোর চেষ্টা করার দরকার নেই। আপনার নিজস্ব পার্সোনালিটি ও ট্যালেন্ট যাতে প্রকাশ পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার নিজস্ব চিন্তা ধারা, কাজকর্ম ও পার্সোনালিটি আপনাকে অন্য সবার চাইতে আলাদা করবে এবং প্রত্যেকের চোখে আপনার একটা নিজস্ব পরিচয় তৈরি করবে।

পরিশেষে বলা যায়, অফিস মিটিং বা গেট টুগেদারের ভয় অবশ্য একদিনেই কেটে যাবেনা, এর জন্য প্রয়োজন অভ্যস্ততা ও সঠিক প্র‍্যাক্টিস। আজকের এই টিপসগুলো ফলো করুন, দেখবেন কনফিডেন্স কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে!

অনলাইন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ