গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শোভাগঞ্জে সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা মহাসড়কে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্তে আসামিদের মুক্তির দাবিতে সড়ক আবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জাকিউল ইসলাম রতন, আলমগীর হোসেন, মিথিলা খাতুন, নাজমুন্নাহার বেগম, সুরুজ্জামান প্রমুখ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তরা বলেন, মৃত্যু ছবিরান বেগম দীর্ঘ দিন থেকে শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছিলেন। গত ১৬ মার্চ বিকাল অনুমানিক ৫ টার দিকে উচ্চ রক্ত চাপ বাড়লে প্রথমে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক হায়দার আলীকে বাড়িতে ডাকেন এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে তিনি সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
রফিকুল ইসলাম তার মাকে নিয়ে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছবিরান মৃত্যুবরণ করেন। ছবিরানের মৃত্যুর সংবাদ বাড়িতে পৌঁছামাত্রই রফিকুল তার লোকজন নিয়ে আব্দুল মজিদের বাড়ি ভাংচুর করেন। ভাংচুর চলাকালে বাড়ীতে থাকা লোকজনদেরকে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন। অবরুদ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নেয়ার পর ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামিদেরকে কোর্টে চালান করেন থানা কর্তৃপক্ষ।
বক্তারা আরও বলেন, আব্দুল মজিদ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, তিনি সাধারণ জনগণের সর্বদা সেবায় নিয়োজিত থেকে মানুষকে সেবা দিয়েছেন। এই মামলা ষড়ন্ত্রমূলক দেয়া হয়েছে, আমরা এই মামলার প্রত্যাহার চাই এবং আসামীদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, অভিযোগ তদন্ত না করে, অবরুদ্ধ ব্যক্তিদের মনগড়াভাবে আটক দেখিয়ে থানা পুলিশ কেন জেল হাজতে প্রেরণ করল, আমরা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল মজিদ, আলম মিয়া, দছিজল হক ও তার ছেলে আক্তারুজ্জামান, একই এলাকার মৃত শফিক উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী ও তার ছেলে মিঠু মিয়া, আনিছুর রহমানের ছেলে নিরব মিয়া।