সর্বশেষ
শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে ৮ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি ছাত্রদলের
বিচার না হলে জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না : জামায়াতের আমির
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সুখবর পেতে যাচ্ছেন!
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না : মির্জা ফখরুল
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা বিকেলে
এআই সাংবাদিকতার স্থান নিতে পারবে না: ইতালীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ
চা-বাগান জ্বলছে খরায় 
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না, সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

শিশুদেরও গ্লুকোমা হয়, লক্ষণ ও চিকিৎসা কী

অনলাইন ডেস্ক

চোখের জটিল রোগ গ্লুকোমা শিশুদেরও হতে পারে, যেমন জন্মগত গ্লুকোমা। গ্লুকোমা হলে চোখের প্রেশার বা চাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি থাকে। ফলে রেটিনাল নার্ভ বা রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অন্ধত্ব নেমে আসে। একটি শিশু গ্লুকোমা নিয়েও জন্মগ্রহণ করতে পারে।

এ শিশুর জন্মের পর চোখের আকার বড় হয় অন্য শিশুদের তুলনায়। খুব ডাগর চোখ ও চোখজুড়ে কালো মণির অংশ বেশি। কর্নিয়াটা মনে হবে চোখজুড়েই রয়েছে। অনেক ভারী ও ভেজাভাব থাকে। চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও আলো সহ্য করতে পারে না। এক দিনের শিশুও আলো দেখতে পারে না। আলো দেখলেই সে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এ ছাড়া অনেক শিশুর অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে। ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে জন্মগত নয়; অন্য কোনো কারণে যেমন স্টেরয়েডের জন্য গ্লুকোমা হতে পারে।

শিশুদের চোখের পরীক্ষা করা কঠিন, চোখের প্রেশার মাপাও কঠিন। এসব ঝামেলায় অনেক অভিভাবক চিকিৎসকের কাছে আসেন না। বাজার থেকে ওষুধ কিনে নিজেরাই ব্যবহার করেন। এটি খুব খারাপ। মনে রাখবেন, গ্লুকোমা অন্ধত্বের কারণ।

লক্ষণ

  • শিশুর চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
  • সরাসরি আলোর দিকে তাকাতে পারে না।
  • চোখের মণি ঘোলা হয়ে যায়। সমস্যা বাড়তে থাকলে দেখা যায়, মণি বড় হয়ে গেছে।
  • চোখের প্রেশার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে চোখের যে নালিটা মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, সেটিতে চাপ পড়ে ও নষ্ট হয়ে যায়। এটি নষ্ট হলে স্থায়ীভাবে অন্ধত্বের দিকে চলে যায়।

শনাক্তকরণ

  • চোখের ইন্ট্রাকুলার চাপ মেপে দেখা; যাকে বলে টনোমেট্রি।
  • অপটিক নার্ভ ড্যামেজ পরীক্ষা। এতে ডায়ালেটেড আই এক্সামিনেশন ও ইমাজিং টেস্ট করা হয়।
  • ভিশন লস পরীক্ষা বা ভিজুয়াল ফিল্ড টেস্ট।
  • কর্নিয়ার পুরুত্ব পরীক্ষা। একে বলে প্যাকিমেট্রি।
  • চোখের ড্রেনেজ অ্যাঙ্গেল পরীক্ষা; যাকে বলে গোনিওস্কোপি।

চিকিৎসা

  • ওষুধ প্রয়োগ কিংবা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চোখের ড্রপের মাধ্যমে বাচ্চাদের গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।
  • আরও কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে আছে লেজার থেরাপি, ফিলটারিং সার্জারি, ড্রেনেজ টিউবস, মিনিমালি ইনভ্যাসিভ গ্লুকোমা সার্জারি।

রোগীর সমস্যা বুঝে ও পরীক্ষা করে তবেই চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন, কোন পদ্ধতিটি কার্যকর হবে। চিকিৎসা করতে অহেতুক দেরি করলে দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরে অস্ত্রোপচার করেও লাভ হয় না। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই শিশুর চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় মনে হলেই শিশু চক্ষু গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ