সর্বশেষ
নতুন বাংলাদেশের ধারণা পেল বিদেশিরা
‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে বিনিয়োগের হাব মনে করে বড় দেশগুলো’
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এই অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস
নতুন ইতিহাস গড়লেন কোহলি
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠী ‘এনগ্রো’
ছুটি নিয়ে ফের সুখবর পেলেন চাকরিজীবীরা
মধ্যরাতে ১১ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা, জামায়াতের নিন্দা
সওজের জায়গা দখলে নিয়ে আ.লীগ নেতার ভবন নির্মাণ
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন থামিয়ে তেল চুরি, চালকসহ রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
বিসিএসে স্বচ্ছতাসহ ৬ দাবিতে পিএসসিকে এনসিপির স্মারকলিপি
গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাবে বিএনপি
প্রধান শিক্ষকের প্রতারণায় পরীক্ষা দিতে পারলো না ১৩ শিক্ষার্থী
স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা, সতর্ক করলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

ফাঁকা রাজধানীতে যাতায়াতে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল ফিতরের চতুর্থ দিনেও অনেকটাই ফাঁকা ছিল রাজধানীর সব প্রধান সড়ক। এদিন গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়লেও তুলনামূলক কম ছিল যাত্রী উপস্থিতি। নির্দিষ্ট স্টপেজে অপেক্ষার পর ফাঁকা সিট নিয়ে গন্তব্যে ছাড়ে অধিকাংশ যানবাহন। রাস্তায় যানজট না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন অনেকে। অল্প সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি অনুভব করেছেন।

এদিকে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে ঢাকায় ফিরতে শুরু করছেন কর্মজীবীরা। জরুরি কাজ ও যানজটের ভোগান্তি এড়াতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ফিরেছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিন রাজধানীর কোথাও দেখা যায়নি পরিবহণের দীর্ঘ লাইন। গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, কাকরাইল, বাড্ডা, রামপুরা, কুড়িল বিশ্বরোড, মহাখালী, জাহাঙ্গীরগেট, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। নির্দিষ্ট স্টপেজে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন গণপরিবহণকে। যাত্রী চাপ না থাকায় অধিকাংশ বাসের সিট ফাঁকা দেখা গেছে। এসব সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যাত্রীর খুব বেশি চাপ দেখা যায়নি মেট্রোরেল, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালেও।

সারা বছর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। ঈদের ছুটিতে সড়ক ফাঁকা থাকায় দায়িত্ব পালনে চাপ কমছে তাদেরও। তবে সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

নগরবাসী বলছেন, ঢাকায় সারা বছর যানজট থাকে। ওই সময়ে নিরিবিলি ও যানজটমুক্ত নগর দেখার সুযোগ নেই; বরং যানজটে মানুষের বহু কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এমন বাস্তবতায় ঈদের ছুটিতে চলাচলে শান্তি অনুভব করছেন অনেকে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। তবে কাক্সিক্ষত যাত্রী না পাওয়ার আক্ষেপ পরিবহণ শ্রমিকদের। তারা বলছেন, এবার ঈদের ছুটি বেশি। এই সুযোগে অধিকাংশ মানুষ গ্রামে গেছে। ফলে ঈদের চতুর্থ দিনেও রাস্তায় তেমন যাত্রী নেই। অধিকাংশ আসন ফাঁকা থাকায় তেলের খরচও উঠছে না।

কেরানীগঞ্জ থেকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় আসা ইয়াসিন রহমান যুগান্তরকে বলেন, কুড়িল এলাকায় আমার অফিস। মোটরসাইকেলে অফিসে আসি। অন্য সময় ২ ঘণ্টা বা তারও বেশি লাগত। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) মাত্র ৪০ মিনিটে চলে এসেছি। রাস্তা পুরোপুরি ফাঁকা। কোথাও যানজট চোখে পড়েনি।

যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, প্রতিবছর মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া হয়। কিন্তু এবার নিজের প্রয়োজনে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় ঈদ করেছি। ঈদের সময় ঢাকার রাস্তা এত ফাঁকা থাকে জানতাম না। রাস্তা ফাঁকা দেখে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ