সর্বশেষ
নতুন বাংলাদেশের ধারণা পেল বিদেশিরা
‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে বিনিয়োগের হাব মনে করে বড় দেশগুলো’
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এই অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস
নতুন ইতিহাস গড়লেন কোহলি
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠী ‘এনগ্রো’
ছুটি নিয়ে ফের সুখবর পেলেন চাকরিজীবীরা
মধ্যরাতে ১১ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা, জামায়াতের নিন্দা
সওজের জায়গা দখলে নিয়ে আ.লীগ নেতার ভবন নির্মাণ
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন থামিয়ে তেল চুরি, চালকসহ রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
বিসিএসে স্বচ্ছতাসহ ৬ দাবিতে পিএসসিকে এনসিপির স্মারকলিপি
গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাবে বিএনপি
প্রধান শিক্ষকের প্রতারণায় পরীক্ষা দিতে পারলো না ১৩ শিক্ষার্থী
স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা, সতর্ক করলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

মুমিন যেভাবে আল্লাহর প্রিয় হয়

অনলাইন ডেস্ক

আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের আন্তরিক প্রচষ্টোই আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা। প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহও তাঁর বান্দাকে ভালোবাসবেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালোবাসবে।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৫৪)

মুমিনের জীবনে আল্লাহর ভালোবাসার গুরুত্ব

শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাজ (রহ.) এক ফাতাওয়ায় বলেছেন, মুমিনের জন্য হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে আল্লাহকে ভালোবাসা ওয়াজিব। যে ভালোবাসার সমকক্ষ আর কিছুই হবে না। সুতরাং আল্লাহই হবেন মুমিনের জীবনে সবচেয়ে প্রিয়। আর আল্লাহর প্রতি সত্য ভালোবাসার দাবি হলো, তাঁর আনুগত্য করা, পাপ পরিহার করা, আল্লাহর রাসুল ও নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের ভালোবাসা। আল্লাহর শত্রুদের অপছন্দ করা এবং আল্লাহর জন্য তাদের ঘৃণা করা।’

আল্লাহর ভালোবাসা ঈমানের দাবি: মুমিনের ঈমানের দাবি হলো আল্লাহকে ভালোবাসা। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকে সে ঈমানের স্বাদ ও মিষ্টতা পেয়ে যায়:

১. যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অন্য সবকিছু অপেক্ষা বেশি প্রিয় হবে। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৪৯৮৭)

২. আল্লাহর ভালোবাসা মুমিনের বৈশিষ্ট্য: আল্লাহর প্রতি অন্তরে ভালোবাসা লালন করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর যারা মুমিন তারা আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৫)

৩. ঈমান আমলের প্রাণসত্তা: আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) আল্লাহর ভালোবাসা সম্পর্কে লেখেন, আল্লাহর ভালোবাসায় অন্তরের শক্তি, আত্মার খোরাক ও চোখের প্রশান্তি। সেটা এমন জীবনীশক্তি যা থেকে যে বঞ্চিত হয় সে যেন প্রকৃতার্থেই মৃত। আল্লাহর ভালোবাসাই ঈমান ও আমলের প্রাণসত্তা।’ (মাদারিজুস সালিকিন: ৩/৮)

আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়গুলো বর্ণনা করা হলো

১. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আনুগত্য: মহানবী (সা.)-এর আনুগত্য মহান আল্লাহর ভালোবাসা লাভের অন্যতম মাধ্যম। আল্লাহ বলেন, বলুন! যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তবে আমার আনুগত্য করো। আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন। তোমাদের পাপ মার্জনা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)

২. ভালো কাজ করা: মহান আল্লাহ সেসব মানুষকে ভালোবাসেন, যারা সত্কর্মপরায়ণ। ইরশাদ হয়েছে, তোমরা সত্কাজ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্কর্মপরায়ণদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৫)

৩. দেহ মনের পবিত্রতা অর্জন করা: যারা পুতঃপবিত্র থাকবে ভালোবাসে এবং যারা পাপমুক্ত জীবন যাপন করে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। দেহের পবিত্রতা হলো বাহ্যিক নাপাকি থেকে বেঁচে থাকা এবং অন্তরের পবিত্রতা হলো আল্লাহর কাছে তাওবা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং তিনি পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২২২)

৪. আল্লাহভীতি অর্জন করা: যাপিত জীবনে আল্লাহর ভয় অন্তরে লালন করার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৭৬)

৫. আল্লাহর ওপর আস্থা রাখা: আল্লাহর ওপর আস্থাশীল বান্দাদের আল্লাহ ভালোবাসেন। মহান আল্লাহ বলেছেন, অতঃপর তুমি কোনো সংকল্প করলে আল্লাহর ওপর নির্ভর করবে; যারা নির্ভর করে আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)

৬. নফল ইবাদত করা: নফল ইবাদত বান্দাকে আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা লাভে সাহায্য করে। হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫০৩)

৭. ধৈর্য ধারণ করা: ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৬)

৮. ন্যায় বিচার করা: আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন। তিনি বলেন, তোমরা ন্যায়বিচার কোরো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)

আল্লাহ সবাইকে তাঁর প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ