খিদে পেলে অনেকেরই মুঠো মুঠো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সারাদিনে তিনটে ভারী খাবারের মাঝেও টুকটাক মুখ চালানোর জন্য বাদাম ভাল বিকল্প হতে পারে, এমনই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কাঁচা হোক বা শুকনো খোলায় ভাজা, বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তবে প্রতিদিন বাদাম খাওয়ারও নির্দিষ্ট পরিমাপ আছে। আর তার বেশি খেলেই উপকারের বদলে হতে পারে বিপদ! কারণ প্রতিটি বাদামে ফ্যাটের পরিমাণ এক রকম নয়। তাহলে রোজ কোন বাদাম কতটা খাওয়া উচিত? জেনে নিন-
কাঠবাদাম- বিশেষজ্ঞরা বলেন, রোজ শরীরে যতটা পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়, তা শুধুমাত্র কাঠবাদাম খেলেই পূরণ হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বজায় থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কাঠবাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম, তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয়ও কম। প্রতিদিন ১৪-১৫টা কাঠবাদাম খেতে পারেন।
কাজুবাদাম- কাজুবাদাম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও দাঁতের এবং মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখে কাজুবাদাম। তবে কাজুবাদাম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সারাদিনে ১০টার বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।
পেস্তা বাদাম- পুষ্টিবিদরা বলেন,নিয়মিত মাত্র দুটি পেস্তাবাদাম খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদযন্ত্রের ধমনী বা রক্তবাহিকার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে পেস্তা বাদাম। এতে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিনের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সারাদিনে ২০টা পেস্তা বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আখরোট- ফ্যাটের পরিমাণ ৬৫ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ ১৫ শতাংশ রয়েছে আখরোটে। বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর আখরোট হার্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী আখরোট খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। তবে সারাদিনে চারটের বেশি আখরোট খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।