সর্বশেষ
নতুন বাংলাদেশের ধারণা পেল বিদেশিরা
‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে বিনিয়োগের হাব মনে করে বড় দেশগুলো’
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এই অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস
নতুন ইতিহাস গড়লেন কোহলি
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠী ‘এনগ্রো’
ছুটি নিয়ে ফের সুখবর পেলেন চাকরিজীবীরা
মধ্যরাতে ১১ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা, জামায়াতের নিন্দা
সওজের জায়গা দখলে নিয়ে আ.লীগ নেতার ভবন নির্মাণ
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন থামিয়ে তেল চুরি, চালকসহ রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
বিসিএসে স্বচ্ছতাসহ ৬ দাবিতে পিএসসিকে এনসিপির স্মারকলিপি
গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাবে বিএনপি
প্রধান শিক্ষকের প্রতারণায় পরীক্ষা দিতে পারলো না ১৩ শিক্ষার্থী
স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা, সতর্ক করলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনীদের তালিকায় রেকর্ড সংখ্যক সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিশ্বের ধনকুবেরদের নিয়ে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ১৫ জন সৌদি ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালে যেখানে তালিকায় ছিলেন মাত্র ১০ জন, সেখানে আট বছর পর আবার ফিরে এসে এবার সংখ্যা দাঁড়াল ১৫–তে। এই তালিকার মাধ্যমে আবারও দেখা গেল, আরব বিশ্বের মধ্যে সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার রয়েছেন।

এই ১৫ জন সৌদি ধনকুবেরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৫.৮ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত; দেশটির ধনকুবেরের সংখ্যা ৫ জন, তাদের সম্মিলিত সম্পদ ২৪.৩ বিলিয়ন ডলার। ৫ জন ধনকুবের নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে মিশর, ২০.৬ বিলিয়ন ডলার তাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ।

এই বছর তালিকায় থাকা ১৫ জন সৌদি বিলিয়নিয়ারের মধ্যে ১৪ জনই নতুন মুখ। তাঁরা মূলত সৌদি স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার থেকে নিজেদের সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে কোভিড-১৯–এর পর থেকে সৌদিতে আইপিও বেড়ে যাওয়ায় এই ধনী ব্যক্তিদের উত্থান ঘটেছে।

তবে পুরনো মুখ হিসেবে তালিকায় ফিরেছেন একমাত্র প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল। তিনি সৌদির সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, একইসঙ্গে আরব বিশ্বেরও সবচেয়ে ধনী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬.৫ বিলিয়ন ডলার। এর প্রায় ৪০ শতাংশ রয়েছে সৌদি স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কিংডম হোল্ডিং কোম্পানিতে। এই কোম্পানি ফোর সিজনস হোটেল চেইন, প্যারিসের জর্জ ফাইভ হোটেল এবং এক সময় এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ইলন মাস্কের সঙ্গে যৌথভাবে অংশীদার ছিল। তিনি সর্বশেষ ফোর্বসের তালিকায় ছিলেন ২০১৭ সালে, তখন তার সম্পদ ছিল ১৮.৭ বিলিয়ন ডলার।

নতুন বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতাল, সুপার শপ, ব্যাংক, মিডিয়া, জিম চেইন, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং শক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তারা।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ড. সুলাইমান আল হাবিব। তিনি একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি ১৯৯৫ সালে রিয়াদভিত্তিক ড. সুলাইমান আল হাবিব মেডিকেল সার্ভিসেস গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২০ সালে তিনি কোম্পানিটি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করেন এবং সেখানে তার ৪০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১০.৯ বিলিয়ন ডলার।

তালিকায় পরবর্তী স্থানে রয়েছেন আল মুহাইদিব পরিবারের তিন ভাই– এমাদ, ইসসাম ও সুলাইমান। তাদের সম্পদ যথাক্রমে ৩.৮, ৩.৬ ও ৩.৬ বিলিয়ন ডলার। তারা তাদের প্রয়াত বাবা আবদুলকাদির আল মুহাইদিবের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে বহুমুখী ব্যবসায় পরিণত করেছেন।

শক্তি ও ইউটিলিটি খাতে শীর্ষ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ আবুনাইয়ানের সম্পদ ৩.২ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকিং ও খুচরা খাতে আছেন আবদুল্লাহ আল রাজহি ও আবদুল্লাহ আল ওথাইম, তাদের সম্পদ ২.৫ বিলিয়ন ডলার করে।

অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে বড় ফার্মেসি চেইন ‘আল নাহদি মেডিকেল গ্রুপ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আমের আল নাহদির সম্পদ ২.৩ বিলিয়ন ডলার। মিডিয়া খাতে রয়েছেন এমবিসি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ওয়ালিদ আল-ইব্রাহিম, তার সম্পদ ১.৪ বিলিয়ন ডলার।

বাকি ধনকুবেরদের মধ্যে রয়েছেন আবদুর রহমান সালেহ আল রাজহি অ্যান্ড পার্টনার্সের চেয়ারম্যান খালেদ আবদুর রহমান আল-রাজহি এবং জামজুম ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ মোহাম্মদ জামজুম; দুজনেরই সম্পদ ১.২ বিলিয়ন ডলার করে। ফিটনেস টাইম জিম চেইনের মালিক হামাদ আলি আল-সাগরির আছে ১.১ বিলিয়ন ডলার এবং ফাকিহ কেয়ার চেয়ারম্যান দুই ভাই আম্মার ও মাজেন সোলাইমান ফাকিহ; দুজনের সম্পদ ১ বিলিয়ন ডলার।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ