সর্বশেষ
পর্যাপ্ত সংস্কার ও বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়: গোলাম পরওয়ার
কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওজন কমায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় তরমুজ
হৃতিকের চেয়েও নাগা স্মার্ট—সামান্থার মন্তব্যে নেটিজেনরা অবাক
বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা, কঠিন হতে পারে ইউরোপে আশ্রয়
আইপিএলে হঠাৎ ব্যাট মাপা শুরু হলো কেন?
অভিনয় নয়, শিল্পার কোটি কোটি টাকা আসে যে কাজ করে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক বোট ক্লাবের সভাপতি হন বেনজীর
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, করুন আবেদন, পদ ১৮৭
বিশ্বকাপের টিকিট পেল পাকিস্তান
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারত যাচ্ছেন জেডি ভ্যান্স
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ অবৈধ ৫০৬ শ্রমিক আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় খোঁজ নিতে সহকর্মীরা গেলেন বাড়িতে, অতঃপর…
মৌসুম শেষ না হতেই পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লো
জুমার দিন যে আমলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

এই নীরব ঘাতক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। তবে অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে তাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি সময়মতো ধরা পড়ে, আবার অনেকের বেলায় তা হয় না। এই সমস্যা সময়মতো ধরা না পড়লে, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

‘বাংলাদেশ জনমিতি স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮’-এর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি চারজনের একজন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন। আর এই সমস্যায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রতিবছর মারা যান।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ–স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কারও রক্তচাপের মাত্রা যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশপাশে থাকে, তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপ হিসেবে ধরা হয়। যদিও বয়সভেদে রক্তচাপ খানিকটা বেশি বা কম হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের বিভিন্ন লক্ষণ:

১। প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা, মাথা গরম হয়ে যাওয়া ও মাথা ঘোরা
২। ঘাড়ে ব্যথা হওয়া
৩। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
৪। অল্পতেই রেগে যাওয়া বা অস্থির হয়ে শরীর কাঁপতে থাকা
৫। রাতে ভালো ঘুম না হওয়া
৬। মাঝেমধ্যে কানে শব্দ হওয়া
৭। অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলা

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের চিকিৎসা খুবই জরুরি। চেষ্টা করুন নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার। তাঁর পরামর্শমতো ওষুধ খান। বর্তমান সময়ের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম। তাই চিন্তা নেই। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সারা জীবন খেতে হয়। তাই মাঝপথে ওষুধ ছেড়ে দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।

তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে অবশ্যই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যেমন—
১. দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ নয়
২. বেশি বেশি ফল ও শাকসবজি খান
৩. মদ্যপান ছাড়ুন
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন, দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম যথেষ্ট
৫. বাইরের খাবার পরিহার করুন
৬. চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
৭. দুশ্চিন্তা কমান।

ছবি: পেকজেলসডটকম

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ