বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সৌন্দর্য ও কর্মদক্ষতা এখনো আলোচনায়। কিন্তু জানেন কি, তাঁর সৌন্দর্যের অন্যতম রহস্য লুকিয়ে আছে অভিনেত্রীর প্রতিদিনের রুটিনে। এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া জানান, তিনি প্রতিদিন ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ঘুম থেকে ওঠেন এবং দিনটিকে যতটা সম্ভব কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন।
বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিন হার্পারস বাজার ইন্দোনেশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া তাঁর ব্যস্ত জীবনের রুটিন বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘যদিও সবার জন্য একটি দিন ২৪ ঘণ্টার, তবে আমি যেন ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ ঘণ্টার কাজ গুছিয়ে নিতে চাই।’ কাজের ব্যস্ততা, মাতৃত্ব ও পরিবারের দায়িত্ব সবকিছু সামলাতে তাঁকে প্রতিনিয়ত সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। তাই তাঁর দিন শুরু হয় খুব সকালেই।
নারী হিসেবে বহুমুখী দায়িত্ব সামলানো
ঐশ্বরিয়ার মতে, একজন নারী হিসেবে তাঁকে সারা দিনে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা নারীরা একাধিক কাজ করি, তাই সময়কে ঘড়ির কাঁটায় হিসাব করলে চলবে না। বরং কাজগুলো সম্পন্ন করা এবং তা সফলভাবে শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
ইতিবাচকতাই আসল মন্ত্র
ঐশ্বরিয়ার মতে, প্রতিদিন সকালের জন্য তাঁর নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্র বা বিশেষ কিছু দরকার হয় না। তাঁর মূল বিশ্বাস হলো, ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা। তিনি বলেন, দিনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করতে হবে, সময়ের মূল্য বুঝতে হবে এবং প্রতিটি কাজের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।
ভোরবেলায় দিন শুরু করলে যা হয়
আমরা সবাই জানি, ভোরবেলায় ওঠার অভ্যাস ভালো। কিন্তু কেন?
- দেহঘড়ি ঠিক রাখে: সকালে ওঠা আমাদের শরীরের সার্কাডিয়ান ছন্দ (Circadian Rhythm) বা দেহঘড়িকে ঠিক রাখে, যা রাতে ভালো ঘুম নিশ্চিত করে।
- ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সকালের তাজা বাতাস ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
- সৃজনশীলতা ও মানসিক প্রশান্তি আনে: ভোরের সময়টা মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে, যা সৃজনশীল কাজের জন্য সহায়ক।
- নিজের জন্য সময় পাওয়া যায়: কর্মব্যস্ত জীবনে নিজের জন্য সময় বের করা কঠিন। কিন্তু সকালে উঠে আমরা নিজের জন্য কিছুক্ষণ সময় পেতে পারি, যা মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
ঐশ্বরিয়া রাই শুধু একজন অভিনেত্রী নন, পরিশ্রমী মানুষও, যিনি ব্যস্ত সময়ের চাপেও পরিবার ও কর্মজীবনকে সামলান দক্ষতার সঙ্গে। তাঁর মতো সকালের রুটিন মেনে চললে যে কেউ সুস্থ ও সফল জীবনের পথে এগিয়ে যাবে। তাহলে আগামীকাল থেকে আপনিও কি ভোর সাড়ে পাঁচটায় উঠে দিন শুরু করার পরিকল্পনা করছেন!
ছবি: ইন্সটাগ্রাম