সর্বশেষ
ওয়াকফ বিল পাসের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ
পর্যাপ্ত সংস্কার ও বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়: গোলাম পরওয়ার
কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওজন কমায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় তরমুজ
হৃতিকের চেয়েও নাগা স্মার্ট—সামান্থার মন্তব্যে নেটিজেনরা অবাক
বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা, কঠিন হতে পারে ইউরোপে আশ্রয়
আইপিএলে হঠাৎ ব্যাট মাপা শুরু হলো কেন?
অভিনয় নয়, শিল্পার কোটি কোটি টাকা আসে যে কাজ করে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক বোট ক্লাবের সভাপতি হন বেনজীর
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, করুন আবেদন, পদ ১৮৭
বিশ্বকাপের টিকিট পেল পাকিস্তান
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারত যাচ্ছেন জেডি ভ্যান্স
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ অবৈধ ৫০৬ শ্রমিক আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় খোঁজ নিতে সহকর্মীরা গেলেন বাড়িতে, অতঃপর…
মৌসুম শেষ না হতেই পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লো

বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা, জামায়াতের নিন্দা

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সেজামুড়া সীমান্তে মুরাদুর রহমান মুন্না (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। হত্যার এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভারতীয় বিএসএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া সীমান্তের অধিবাসী বাংলাদেশি যুবক মুরাদুর রহমান মুন্নাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নিহত মুরাদুর রহমান মুন্নার পরিবার জানিয়েছে যে, সীমান্ত এলাকায় তার কৃষি জমি দেখতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কয়েকজন তাকে বিনা কারণে ধরে নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়ে আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। বিজিবির টহলরত সদস্যরা মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে তুলে এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিনা কারণে বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় পিটিয়ে হত্যা করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও কূটনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনার ৪০ দিন পূর্বে আরও এক বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফ এভাবে হত্যা করেছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে অন্যায়ভাবে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে এবং ধরে নিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিজিবির সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের একাধিক বৈঠকের পরেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতন কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।

ভারতীয় বিএসএফের এমন আগ্রাসী আচরণে বাংলাদেশের জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। বিএসএফের এ ধরনের আচরণই প্রমাণ করে যে, ভারত বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক চায় না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধুসুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে এবং বাংলাদেশি যুবক মুরাদুর রহমান মুন্নাকে হত্যা করার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভারতীয় আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ