বিধ্বংসী ব্যাটারের তকমাটা আগেই জুড়ে গিয়েছিল নামের সঙ্গে। সেই বিধ্বংসী কতটা; এবার তারই জানান দিলেন অভিষেক শার্মা। ব্যাট হাতে রীতিমতো কচুকাটা করলেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। হাঁকালেন ৪০ বলে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। এরপর সাজঘরে ফেরার আগে থামলেন ৫৫ বলে ১০ ছক্কা ও ১৪ চারে ১৪১ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলে। অথচ, তবুও আক্ষেপ অভিষেক শর্মার কণ্ঠে। জানালেন, এই ইনিংস সন্তুষ্ট করতে পারেননি তার জীবনের প্রথম কোচ প্রিয় বাবাকে।
শনিবার আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের ৬ উইকেটে করা ২৪৫ রানের পাহাড় ৯ বল আগে ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যেখানে ৫৫ বলে ১৪১ রান করে হায়দরাবাদের নায়ক অভিষেক। এমন ইনিংসের পর কথা বলতে গিয়ে বাবাকে সন্তুষ্ট করতে না পারার আক্ষেপও ঝরেছে তার কণ্ঠে।
এদিন ছেলের খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন অভিষেকের বাবা-মা। গ্যালারিতে বসে দেখেছেন ছেলের মহাকাব্যিক ইনিংস। এমন ইনিংসের পর নিশ্চিতভাবেই খুশি হওয়ার কথা যেকোনো বাবা মায়ের। তবে অভিষেক জানালেন ভিন্ন কথা।
অভিষেক বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই বিশেষ ছিল। অনূর্ধ্ব-১৪ সময় থেকেই আমার বাবা আমার ম্যাচ দেখতে আসছেন। আমার ইনিংসের সময় যদি আপনি তাকে জুম করে দেখেন, তাহলে দেখতে পাবেন, তিনি আমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন, কোন শট খেলতে হবে – ‘এই শট খেলো, সেই শট খেলো’। তিনি ছিলেন আমার প্রথম কোচ। আমার মা এবং বাবার সামনে এই ইনিংস খেলা তাই আমার জন্য খুবই বিশেষ।’
অভিষেক এরপর বাবার সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণটাও জানালেন। বলেন, ‘আইপিএলে এটি আমার সর্বোচ্চ ইনিংস। অথচ, আমার বাবা আমাকে বারবার খেলা শেষ করে আসতে বলছিলেন, তাই তিনি এখনও সন্তুষ্ট নন। সবসময় উন্নতির জায়গা থাকে। আমিও কঠোর পরিশ্রম করে যাব।’
আইপিএলে দলকে জেতালেও অবশ্য খুব বেশি খুশি হতে পারবেন না অভিষেক। যখন পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকাবেন তখন দেখবেন তার দলের অবস্থান টেবিলের ৮ নম্বরে। ৬ ম্যাচ শেষে জয় মোটে ২টি। অন্যদিকে টেবিল টপার দিল্লি ক্যাপিটালসের পয়েন্ট ৪ ম্যাচ শেষে ৮।