বাঙালির অন্যতম উৎসব পহেলা বৈশাখ। আর এ উৎসবে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে পান্তা ইলিশ। বাংলা বর্ষবরণে এবারের উৎসবকে পুঁজি করে কুয়াকাটায় বেড়েছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম।
রোববার সকাল থেকে দুপুরে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২শ থেকে ২৫শ টাকা কেজি দরে। ৭শ থেকে ৯শ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬শ থেকে ১৮শ টাকা কেজি দরে। ৫শ থেকে ৭শ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা কেজি দরে। আর ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৮শ টাকা কেজি দরে।
হঠাৎ ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের চোখে-মুখে লক্ষ্য করা গেছে হতাশা ও বিরক্তির চাপ। তবে সমুদ্রে মাছের আকাল থাকায় ইলিশের দাম বেশি বলে দাবি করছেন জেলে ও পাইকারি বিক্রেতারা।
কুয়াকাটা মেয়র বাজারে আসা খুচরা ক্রেতা জনি আলমগীর বলেন, পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাওয়া তো পরের কথা, স্বাভাবিক খাবারে মাছের জোগান দেওয়া কতটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে; তা শুধু ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা ইলিশের পাইকারি ক্রেতা বিষ্ণু দাস জানান, তিনি কুয়াকাটা থেকে ইলিশ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন। বিশেষ করে বাংলা বর্ষবরণে ইলিশ সরবরাহ করে বিগত বছরগুলোতে বেশ লাভবান হলেও এবার তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। তার মতে, সাগরে এখন মাছ কিছুটা কম ধরা পড়লেও জেলে এবং ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট বানিয়ে চড়াদামে বিক্রি করছে।
কুয়াকাটার জেলে হুমায়ূন জানান, সাগরে জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা মিলছে না। মাঝে-মধ্যে শূন্যহাতে ফিরতে হয় বলেও জানালেন এই জেলে।
কুয়াকাটা মেয়র বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক সিকদার জানান, জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা না পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম, তাই সব ধরনের মাছের দাম এখন বেশি। সরবরাহ বাড়লে মাছের দাম কমে আসবে বলে তিনি আশা করছেন।