নববর্ষের শোভাযাত্রা জনক ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমকে সংবর্ধনা দিয়েছে যশোর জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে যশোর কালেক্টরেট চত্ত্বরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাস্কর শামীমের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মামনা পেয়ে বেশ খুশি ভাস্কর শামীম। তিনি বলেন, ‘এ সম্মাননা শুধু আমার একার নয়। যশোরের সব সাংস্কৃতিক কর্মী, সামাজিক ও রাজনীতিক সর্বোপরি গোটা দেশবাসীর। যশোর থেকে শুরু হওয়া পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা আজ প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঙালিরা সাড়ম্বরে পালন করছে। এই আনন্দ আজ সবার।’
ভাস্কর শামীম আরও বলেন, ‘আজকের এ সম্মাননায় আমি আপ্লুত, খুশি।’
এদিকে, উৎসব-আনন্দ আর বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে যশোরবাসী। ১৪৩২ বরণ করতে সোমবার সকালে কালেক্টরেট চত্ত্বরে আসতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জাতীয় সঙ্গীত ও এসো হে বৈশাখ এসো এসো গান গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
সম্মাননা অনুষ্ঠানের পরপরই দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় শহরে একটি বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি যশোর কালেক্টরেট চত্ত্বর থেকে বেরিয়ে বকুলতলা, দড়াটানা, চৌরাস্তা, কেশবলাল সড়ক হয়ে যশোর ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।
এবারের শোভাযাত্রায় সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন প্রাণ প্রকৃতি পাখ পাখালির মোটিফ, ঘোড়ার গাড়িসহ গ্রামবাংলার চিরায়ত বিভিন্ন সামগ্রী বহন করা হয় ও র্যালি হয়ে উঠে প্রাণবন্ত। এ সময় বিভিন্ন পেশার মানুষ নববর্ষের বাহারি রঙিন পোশাক পরিধান করে তাদের নিজস্ব বাদ্য বাজিয়ে নেচে গেয়ে তারা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে।
নববর্ষ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যশোর পৌরপার্কে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যশোর উদীচী। সেখানে কবিগান, পালাগান, পঞ্চকবির গান, আধুনিক গান, লোক সঙ্গীত, লোক নৃত্য, বাউল গান পরিবেশন করা হয়। বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সব বয়সের নারী-পুরুষ অংশ নেয়।