সর্বশেষ
রিশাদকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে লাহোর
রাজশাহীতে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে বাঙালি সংস্কৃতিতে মুগ্ধ বিদেশিরা
বউমেলায় ভক্তদের ঢল
বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় বসল শিক্ষার্থী
চোরাচালান-মানবপাচারকারী কাউকে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র সচিব
মাল্টা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা
তিন দিনে ভারত থেকে এলো ২০ হাজার ৮১৫ টন চাল
অস্ত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
এনসিপির বর্ষবরণে উপস্থিতি কম কেন, যে ব্যাখ্যা দিলেন সামান্তা
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির ৮ নেতা বহিষ্কার
রাজশাহীতে ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
শেরপুরে বর্ষবরণ দেয়ালিকা প্রদর্শনী
তেলের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনে খুব একটা প্রভাব পড়বে না
সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
সংসদে আইন করে ইসরাইলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক

উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোর বঙ্গোপসাগরে আজ (১৫ এপ্রিল) থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এ সময় জেলেদেরকে সরকার ৭৮ কেজি করে চাল দেবেন।

ভোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান,ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলেরা আজ (১৫ এপ্রিল) থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময়টাতে সরকার তাদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বজিৎ কুমার জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সরকার বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

তথ্যমতে, ভোলায় সরকারের নির্ধারিত তালিকার বাইরেও সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যা লক্ষাধিক হবে বলে দাবি করেছেন মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলে সমিতির নেতারা। ভোলা সদর ইলিশা মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা মিয়া জানান, ভোলা থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া প্রকৃত জেলের সংখ্যা এক লাখের উপরে।কিন্তু এসব জেলেদের সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আজ সকালে ভোলার মেঘনাপাড়ের তুলাতিলি নামক এলাকার জেলে পল্লীর জেলে মহব্বগ মাঝি, রুস্তম আলী ও কালিমুল্লাহ মাঝি জানান, বিগত সরকারের সময়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি চাল তাদের ঠিকমতো দেওয়া হতো না। তবে সেই আশঙ্কা এখন আর না থাকায় এবার নিষেধাজ্ঞাকালীন তারা চাল পাবেন বলে আশা করছেন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ