সর্বশেষ
রিশাদকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে লাহোর
রাজশাহীতে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে বাঙালি সংস্কৃতিতে মুগ্ধ বিদেশিরা
বউমেলায় ভক্তদের ঢল
বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় বসল শিক্ষার্থী
চোরাচালান-মানবপাচারকারী কাউকে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র সচিব
মাল্টা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা
তিন দিনে ভারত থেকে এলো ২০ হাজার ৮১৫ টন চাল
অস্ত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
এনসিপির বর্ষবরণে উপস্থিতি কম কেন, যে ব্যাখ্যা দিলেন সামান্তা
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির ৮ নেতা বহিষ্কার
রাজশাহীতে ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
শেরপুরে বর্ষবরণ দেয়ালিকা প্রদর্শনী
তেলের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনে খুব একটা প্রভাব পড়বে না
সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
সংসদে আইন করে ইসরাইলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

রাজশাহীতে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে বাঙালি সংস্কৃতিতে মুগ্ধ বিদেশিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী-পুরুষ মিলিয়ে দলটা বেশ বড়। সবাই চীনের নাগরিক। বাংলা নববর্ষের আয়োজনে সোমবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চত্বরে তারা ঘুরছিলেন। গোদাগাড়ীতে তারা রাজশাহী ওয়াসার সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে কাজ করছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি। সেখান থেকেই আসেন নববর্ষের আয়োজনে।

সকাল ৯টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রায় শুরু থেকেই চীনা নাগরিকরা মেতে ওঠেন। কেউ আদিবাসীদের সঙ্গে নাচছিলেন, কেউ বা তুলছিলেন ছবি, কেউ করছিলেন ভিডিও। কারও হাতে তালপাতার হাতপাখা, কেউ মেলায় ঘুরছিলেন তাদের প্রতিষ্ঠানের স্টলের আশপাশে। এ দলের সঙ্গে ছিলেন ওয়াসার প্রজেক্টের ডেপুটি ম্যানেজার ইয়াসির আরাফাত।

তিনি জানান, চীনের এই কর্মীরা নববর্ষের উৎসব দেখতে বেশ আগ্রহ নিয়ে এসেছেন।

ওয়াসা প্রজেক্টের পরিচালক মি. জু বলেন, এই উৎসব অনেক প্রাণবন্ত। বাংলাদেশের মানুষ খুব বন্ধুপ্রতিম ও অতিথিপরায়ণ। চীনেও নববর্ষ উদযাপন করা হয়, তবে সেখানে আতশবাজির ব্যবহার বেশি। দুই দেশের নববর্ষে মানুষের অংশগ্রহণ থাকলেও রীতি-নীতিতে পার্থক্য রয়েছে।

গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম বলেন, চায়নারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকেই এই আয়োজন দেখতে এসেছেন।

তিনি জানান, লোকশিল্প, সাংস্কৃতিক চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধরে রাখাই আনন্দ শোভাযাত্রার লক্ষ্য। প্রতীকী মুখোশ, গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ ও বাংলার লোকজ উপকরণে সাজানো হয় এই শোভাযাত্রা।

জানা গেছে, চীনের এই নাগরিকেরা গত দুই বছর ধরে গোদাগাড়ীতে কাজ করছেন। শুরু থেকেই বাংলা নববর্ষের প্রতি তাদের কৌতূহল ছিল। এবার তারা নিজের চোখে দেখলেন পহেলা বৈশাখের উৎসব। আনন্দ শোভাযাত্রা চলাকালে দেখা যায়, কেউ আদিবাসীদের সঙ্গে নাচছেন, কেউ তাদের ঢাক-ঢোল ও একতারার তালে ভিডিও করছেন।

একজন চীনা নাগরিক জানান, এ আয়োজন তাদের অভিভূত করেছে। এতে তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসবের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন। এবার একদল বিদেশিও অংশ নিয়েছেন, যা আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার পথে একধাপ এগিয়ে দিল।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ