ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলো ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্ত করার পর তাদের তথ্য সিআইবিতে (ঋণ তথ্য ব্যুরো) দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব গ্রাহককে ইচ্ছাকৃত খেলাপি (ডব্লিউ ডি বা উইলফুল ডিফল্ডার) হিসেবে প্রদর্শন করবে।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলো ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্ত করার পর এ সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) রিপোর্ট করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে সিআইবিতে ডব্লিউ ডি বা উইলফুল ডিফল্ডার হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্ত গ্রাহককে এই বিষয়ে পত্র দেওয়ার সময় যাচাই করা তথ্যসহ সিআইবিকে সরবরাহ করতে হবে।
ব্যাংক থেকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে প্রতি তিন মাস পরপর পরবর্তী মাসের দশ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া এ সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদিসহ হালনাগাদ বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের চাহিদা মোতাবেক উপস্থাপন করবে।
প্রসঙ্গত, আগেই ‘ইচ্ছাকৃত ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ও চূড়ান্তকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে গৃহীতব্য ব্যবস্থা’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে কারা হবেন ইচ্ছাকৃত খেলাপি, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেসব বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
এছাড়া চলতি মাস থেকে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের খোঁজা শুরুর কথা ছিল। চলতি মাসের মধ্যে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ গঠন করতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।