সর্বশেষ
আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না, সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বিসিআইসিতে বিশাল নিয়োগ, আবেদন করুন দ্রুত
উর্বশীর বিস্ময়কর দাবিতে রেগে গেলেন পুরোহিতরা
পাকিস্তানের কাছে হারলেও যেভাবে বিশ্বকাপে যেতে পারে বাংলাদেশ
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি
তিন দাবিতে এনসিপির নতুন কর্মসূচি
শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১১ শিল্প গ্রুপের অর্থ পাচার, উদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থায়
অতিরিক্ত রাগ ও চিৎকার যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, অ্যাঞ্জিওগ্রাফির মধ্যে পার্থক্য কী? কখন কোনটা প্রয়োজন?
ফ্রিজ ছাড়াই খাবার, সবজি ও ফল টাটকা রাখবেন যেভাবে
স্ক্যাম প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ
টাইপ ৫ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কম বয়সীরা, ঝুঁকি থেকে বাঁচতে করণীয় কী?
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছেন, কী অর্থ বের করেছেন বিজ্ঞানীরা?

আমরা নির্বাচনের দাবি করতে পারি, দিনক্ষণ ঠিক করে দিতে পারি না

অনলাইন ডেস্ক

সংস্কারগুলো সাধন না করে যেই নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি রচনা করতে পারবে না। আমরা নির্বাচনের দাবি করতে পারি, দিনক্ষণ ঠিক করে দিতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য সফরের খুঁটিনাটি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘তারা (বিদেশিরা) আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে জানতে চেয়েছেন যে এই নির্বাচন কখন হবে, কীভাবে হবে? আমরা বলেছি, অনেক ত্যাগ এবং চেষ্টার বিনিময়ে যে পরিবেশ এসেছে, সেই পরিবেশ তিনটি ম্যান্ডেটরি জিনিস দাবি করছে। প্রথম হলো, দৃশ্যমান, গ্রহণযোগ্য, মৌলিক সংস্কার। কিছু সুনির্দিষ্ট জায়গা আমরা মেনশন (উল্লেখ) করেছি, যা এর আগে আমরা জাতির সামনে পেশ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব কমিশনগুলোর কাছে জমা দিয়েছি। আমরা বলেছি, সংস্কারগুলো সাধন না করে যেই নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি রচনা করতে পারবে না। বরং অতীতের যেসব নির্বাচন দেশ ও জাতির কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি, সে রকম হয়তো আরেকটা খারাপ নির্বাচন হবে। আমরা ওই নির্বাচন চাই না।’

শফিকুর রহমান বলেন, হাজার প্রাণের বিনিময়ে, হাজার হাজার মানুষের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে, আহত হওয়ার বিনিময়ে দেশে এই পরিবর্তন এসেছে। তাই অবশ্যই সংস্কার সাধন করতেই হবে। এই সংস্কার কারা করবে? সংস্কারের প্রধান অংশীজন হলো রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলো যত তাড়াতাড়ি ও আন্তরিকতার সঙ্গে সংস্কারে সহযোগিতা করবে, তত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে। সংস্কার যদি না হয়, তাহলে সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির বিষয়ে দেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটি পূরণ না হয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে পড়বে। আর তার দায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বাস্তবতার কাতারে এসে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংস্কারে সহযোগিতা করতে হবে।

জামায়াতের আমির বলেন, দ্বিতীয় দাবি হলো, যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, এই খুনের দায় যাদের, তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃশ্যমান বিচার এই জাতিকে দেখাতে হবে। যাতে খুনিদের বিচারের বিষয়ে জাতির আস্থা ফিরে আসে।

তৃতীয় দাবির বিষয়টি জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, এটি হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরস্পরকে সম্মান করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। জিতে গেলে নির্বাচন সুষ্ঠু, আর হেরে গেলে দুষ্ট—এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে সেই নির্বাচনটা এমন হতে হবে, যে নির্বাচন নিয়ে কেউ সহজে প্রশ্ন তুলতে না পারে। এ জন্য অনেক ডায়ালগ ও এনগেজমেন্টের (আলাপ-আলোচনা-সম্পৃক্ততা) প্রয়োজন। এটি সরকারের তরফ থেকে হতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব উদ্যোগে হতে পারে, সিভিল সোসাইটি (সুশীল সমাজ) থেকেও হতে পারে। এটা যখন মাল্টিপল (বহুপক্ষীয়) জায়গা থেকে, তখন একটা পরিবেশ তৈরি হবে। তারা সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, তারা (বিদেশিরা) নির্বাচনের সময় জানতে চেয়েছেন। তারা তাদের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে বারবার বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা মনে করেন, আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির জন্য, সংস্কারের জন্য, বিচারের জন্য এই সময়টা গ্রহণযোগ্য। এই সময়ের সীমা যাতে অতিক্রম করে না যায়, তারা সেই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সাক্ষাতে তারা রোজার আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে বলেছেন। তিনি আবার বলছেন, এটা তখনই হতে পারে, যখন এই শর্তগুলো পূরণ হতে পারে।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘শর্ত পূরণ ছাড়া মার্চ, ফেব্রুয়ারি—কোনো কিছুই ঠিক থাকবে কি না, আল্লাহই ভালো বলতে পারবেন।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের দাবি করতে পারি, দিনক্ষণ ঠিক করে দিতে পারি না। আমরা বলেছি, নির্বাচন এই সময়েই হতে পারে। দাবি পূরণ হলে তার আগে হলে আপত্তি নেই, পরে হলেও সমস্যা নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়েতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এটিএম মাসুম, নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, মাওলানা আনম শামসুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ