শুল্কের ওপর ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতি অনুসারে, ২৭টি দেশ নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং প্রায় অন্যান্য সব পণ্যের ওপর বিস্তৃত শুল্কের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
ট্রাম্প জানান, তিনি ইউরোপের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। তার শুল্ক ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ব বাজারকে উত্তাল করার পর থেকে এই আলোচনায় তিনি সবচেয়ে বেশি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ মিত্র মেলোনির সঙ্গে আলোচনার পরে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই, একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে। বড় ধরনের হবে। আমরা একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছি। আমি আশা করি, এটি একটি ন্যায্য চুক্তি হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে অবস্থান নিয়েও মেলোনিও সমানভাবে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পূর্ণ ইইউর জন্য কোনো চুক্তি করতে পারবেন না। তবে বলেছেন, খোলামেলা আলোচনা মার্কিন-ইউরোপীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টিকারী বাণিজ্য বিরোধ সমাধানে সহায়তা করতে পারে।
মেলোনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে- আমরা একটি চুক্তি করতে পারি এবং আমি এখানে সাহায্য করার জন্য আছি। ’
ট্রাম্প শুল্কের প্রভাব সীমিত করার জন্য যেসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে অগ্রাধিকার তালিকায় কোন দেশ আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই আমার অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিনি চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করার আশা করছেন।
মধ্যাহ্নভোজের বৈঠকের পর, ট্রাম্প এবং মেলোনি ওভাল অফিসে পাশাপাশি বসে দীর্ঘ সময় ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা উভয়েই বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি নীতি এবং অভিবাসনের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। শুক্রবার রোমে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে স্বাগত জানাবেন মেলোনি, তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প অদূর ভবিষ্যতে ইতালি সফরের তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ’
তথ্যসূত্র: ডেইলি সাবাহ