বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কেউ কেউ বলছেন সংস্কার না করে নির্বাচন করলে যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা সংস্কার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। অথচ সংস্কার হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যে দল নির্বাচিত হবে তাদের তো পার্লামেন্টে পাশ করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরণের বিভ্রান্তি তৈরি করে কার লাভ হচ্ছে? গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। যে সমস্ত দল নির্যাতিত ও সর্বশেষ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা আমাদের ভেতরই যদি ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে তাহলে তো ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবেই।
শনিবার দুপুরে নাটোর শহরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদ নাটোর শাখা আয়োজিত ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ভারত আমাদের বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো। কে তাদের আনুগত্য করবে, কে তাদের পক্ষে থাকবে, তাদেরকে (আ. লীগ) নিয়ে বাংলাদেশকে তাদের কব্জায় নিতে চেয়েছিল। এজন্যই দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এক ভয়ংকর দানবীয় ফ্যাসিস্টের পতন হলো এবং হাসিনা পালিয়ে গেল সেই দেশে (ভারতে)। শেখ হাসিনা শূন্য বাংলাদেশ তাদের জন্য (ভারতের) খুবই মনোবেদনার কারণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, যারা নির্বাচনকে পেছনে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন, তারা মনে রাখবেন বাংলাদেশের মানুষ ওতো বোকা নয়। বর্তমান সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান দ্রুত সময়ের ভেতর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেন। দেশের মানুষকে মুক্তি দেন।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী ও সাইফুল ইসলাম আফতাব, নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. শরিফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।