যদি আপনি শরীরের একগুঁয়ে মেদ নিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাহলে এই ডিটক্স পানীয়গুলো আপনার জন্য একটি প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে।
শরীরের মেদ কমানো একটি কঠিন কাজ, তবে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকারের মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। ডিটক্স ওয়াটারের কথা বলছি। এটি এমনই একটি সমাধান, যা আপনাকে কেবল হাইড্রেটেড রাখে না বরং বিপাক বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বড় পরিবর্তন না করেই আপনার খাদ্যতালিকায় এই পানীয় অন্তর্ভুক্ত করুন।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এমন ৫টি পানীয় রয়েছে, যা আসলে শরীরের চর্বি কমায়। এতে উপস্থিত পুষ্টি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত এবং সহজ করে তোলে।
মেথির পানি অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ফাইবারের ভালো উৎস হওয়ায়, এটি হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এতে ভিটামিন সি এবং কে এর মতো ভিটামিন এবং আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা শরীরে প্রদাহ কমায়। মেথি বীজ রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং চর্বি পোড়ায়। এছাড়াও, এটি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জিরের পানি ওজন এবং শরীরের মেদ কমাতে সহায়ক। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম কিন্তু ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে এর মতো ভিটামিন এবং আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে। এছাড়াও, এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জিরের জল বিপাক বৃদ্ধি করে, হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা কমায়। এই সবই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, জিরা হজমকারী এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে, যা খাবারকে আরও ভালোভাবে ভেঙে দেয়, ফলে পেট ফাঁপা কমায় এবং হজমের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
লেবু এবং আদার পানি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, যা অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস হওয়ায়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। আদাতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ফোলাভাব এবং ব্যথা কমায়। আদা হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেটের সমস্যা কমায়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ লেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই দুটিতেই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে বিষমুক্ত করে।
ওজন কমাতে মানুষ প্রায়শই আমলকি ব্যবহার করে কারণ এটি বিপাক বৃদ্ধি, হজমশক্তি উন্নত করতে এবং শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও, এর ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।