পহেলা বৈশাখে দিনাজপুরের দারাইলদিঘি এলাকায় জন্ম নেয়া নবজাতক মুশফিক ইসলামকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের ছোঁয়া। সমকাল নববর্ষের দিনে জেলার প্রথম জন্ম নেয়া শিশুকে শুভেচ্ছা স্বরূপ উপহার পাঠালে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার।
টিন দিয়ে ঘেরা ছোট একটি বাড়িতে থাকে রাজমিস্ত্রি ফরিদুল ইসলাম ও মুর্শিদা বেগম দম্পতি। নবজাতক মুশফিক তাদের তৃতীয় সন্তান। বাড়ির সামনের ছোট্ট বারান্দায় দোলনায় ঘুমিয়ে থাকা শিশুটির জন্য উপহার পৌঁছে দিলে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
শিশুটির বড় বোন ফারিয়া আক্তার ইভা, দারাইলদিঘি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী, জানায়—”ভাইকে ডাক্তার বানাবো, পড়াশোনা করাবো ভালো করে। গিফট পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। ভাইয়ের জন্য এমন আয়োজন অনেক আনন্দের।”
মুশফিকের জন্মের পরদিনই ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হয়। পরে বাড়িতে ফিরলেও আবারও ইনফেকশনের কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় পরিবারকে, যা তাদের জন্য বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে। তবুও সন্তানের সুস্থতায় স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে।
মুশফিকের মা বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। ওর বাবার রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়মিত হয় না। ধার-কর্জ করে বাচ্চার চিকিৎসা করিয়েছি। এখন চেষ্টা করবো পড়ালেখা শেখাইয়া মানুষ করতে। ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখি।”
শিশুটির নানি জাহানারা বেগম বলেন, “ছাওয়ালটাক বড় করিবা লাগিবে। গিফট পেয়ে খুব ভালো লাগিছে। তোমরা আসিছো, তাই খুশি লাগিছে।”
১৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় মুশফিকের জন্ম হয় দিনাজপুর মা ও শিশু পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। এটি ফরিদুল-মুর্শিদা দম্পতির তৃতীয় সন্তান। নববর্ষের এই শিশুর হাসিতে যেন পুরো পরিবারে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন দিনের আশার আলো।
সূত্র: সমকাল